ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Logo সাভারে বাড়ি ফেরার পথে ধ’র্ষ’ণে’র শিকার তরুণী, থানায় মামলা Logo ‘কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগামে হামলা কোনো সভ্য মানুষ করতে পারে না’ Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক

চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদার ও তার বড় ভাই রাকিবুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা জেসমিন বেগম।

ছাত্রলীগের নেতা রিয়াজ হাওলাদার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে। নিহত লোপা আক্তার নাসির হাওলাদার ও জেসমিন বেগম দম্পতির মেয়ে। লোপা ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের চাচাতো বোন।

লোপা আক্তারের মা জেসমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে লোপা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মেয়েকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রিয়াজ। আমার মেয়ে লোপা ২২ জুন রাতে ঘরের সামনের রুমে খাটের উপর একা ঘুমাতে যায়। আমি রাত সাড়ে ৪টায় ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে আমার মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসা অবস্থায় জানলার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। এ সময় আমি চিৎকার করলে আমার ছেলে মেহেদী ও পাশের ঘর থেকে রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল এসে লোপার ঝুলন্ত মরা দেহ জানলার গ্রিল থেকে খুলে নিচে নামায়। এ সময় আমাকে ডাক চিৎকার দিতে মানা করে রিয়াজ। সে বলে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে লোপা তো আর ফিরে আসবেনা। মানুষ যদি জানে লোপা আত্মহত্যা করেছে তাহলে মানসম্মান নষ্ট হবে। আমি তখন আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল বলে লোপা হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে এই কথা সবাইকে বলবেন। সকাল হলে সবাইকে বলি হার্ট স্টোক করে লোপা মৃত্যুবরণ করেছে। পরবর্তীতে লোপার লাশ বাড়িতেই দাফন দেই। আমি তখন থেকে কিছুদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকি। আমি স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারি আমার মেয়ে লোপাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমি বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।’

এই বিষয়ে জানতে দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারকে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১০:০০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদার ও তার বড় ভাই রাকিবুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা জেসমিন বেগম।

ছাত্রলীগের নেতা রিয়াজ হাওলাদার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে। নিহত লোপা আক্তার নাসির হাওলাদার ও জেসমিন বেগম দম্পতির মেয়ে। লোপা ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের চাচাতো বোন।

লোপা আক্তারের মা জেসমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে লোপা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মেয়েকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রিয়াজ। আমার মেয়ে লোপা ২২ জুন রাতে ঘরের সামনের রুমে খাটের উপর একা ঘুমাতে যায়। আমি রাত সাড়ে ৪টায় ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে আমার মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসা অবস্থায় জানলার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। এ সময় আমি চিৎকার করলে আমার ছেলে মেহেদী ও পাশের ঘর থেকে রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল এসে লোপার ঝুলন্ত মরা দেহ জানলার গ্রিল থেকে খুলে নিচে নামায়। এ সময় আমাকে ডাক চিৎকার দিতে মানা করে রিয়াজ। সে বলে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে লোপা তো আর ফিরে আসবেনা। মানুষ যদি জানে লোপা আত্মহত্যা করেছে তাহলে মানসম্মান নষ্ট হবে। আমি তখন আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল বলে লোপা হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে এই কথা সবাইকে বলবেন। সকাল হলে সবাইকে বলি হার্ট স্টোক করে লোপা মৃত্যুবরণ করেছে। পরবর্তীতে লোপার লাশ বাড়িতেই দাফন দেই। আমি তখন থেকে কিছুদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকি। আমি স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারি আমার মেয়ে লোপাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমি বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।’

এই বিষয়ে জানতে দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারকে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।