ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদার ও তার বড় ভাই রাকিবুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা জেসমিন বেগম।

ছাত্রলীগের নেতা রিয়াজ হাওলাদার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে। নিহত লোপা আক্তার নাসির হাওলাদার ও জেসমিন বেগম দম্পতির মেয়ে। লোপা ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের চাচাতো বোন।

লোপা আক্তারের মা জেসমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে লোপা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মেয়েকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রিয়াজ। আমার মেয়ে লোপা ২২ জুন রাতে ঘরের সামনের রুমে খাটের উপর একা ঘুমাতে যায়। আমি রাত সাড়ে ৪টায় ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে আমার মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসা অবস্থায় জানলার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। এ সময় আমি চিৎকার করলে আমার ছেলে মেহেদী ও পাশের ঘর থেকে রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল এসে লোপার ঝুলন্ত মরা দেহ জানলার গ্রিল থেকে খুলে নিচে নামায়। এ সময় আমাকে ডাক চিৎকার দিতে মানা করে রিয়াজ। সে বলে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে লোপা তো আর ফিরে আসবেনা। মানুষ যদি জানে লোপা আত্মহত্যা করেছে তাহলে মানসম্মান নষ্ট হবে। আমি তখন আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল বলে লোপা হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে এই কথা সবাইকে বলবেন। সকাল হলে সবাইকে বলি হার্ট স্টোক করে লোপা মৃত্যুবরণ করেছে। পরবর্তীতে লোপার লাশ বাড়িতেই দাফন দেই। আমি তখন থেকে কিছুদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকি। আমি স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারি আমার মেয়ে লোপাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমি বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।’

এই বিষয়ে জানতে দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারকে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১০:০০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদার ও তার বড় ভাই রাকিবুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা জেসমিন বেগম।

ছাত্রলীগের নেতা রিয়াজ হাওলাদার দাড়িয়াল ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে। নিহত লোপা আক্তার নাসির হাওলাদার ও জেসমিন বেগম দম্পতির মেয়ে। লোপা ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজের চাচাতো বোন।

লোপা আক্তারের মা জেসমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে লোপা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মেয়েকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রিয়াজ। আমার মেয়ে লোপা ২২ জুন রাতে ঘরের সামনের রুমে খাটের উপর একা ঘুমাতে যায়। আমি রাত সাড়ে ৪টায় ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে আমার মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসা অবস্থায় জানলার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। এ সময় আমি চিৎকার করলে আমার ছেলে মেহেদী ও পাশের ঘর থেকে রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল এসে লোপার ঝুলন্ত মরা দেহ জানলার গ্রিল থেকে খুলে নিচে নামায়। এ সময় আমাকে ডাক চিৎকার দিতে মানা করে রিয়াজ। সে বলে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে লোপা তো আর ফিরে আসবেনা। মানুষ যদি জানে লোপা আত্মহত্যা করেছে তাহলে মানসম্মান নষ্ট হবে। আমি তখন আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল বলে লোপা হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে এই কথা সবাইকে বলবেন। সকাল হলে সবাইকে বলি হার্ট স্টোক করে লোপা মৃত্যুবরণ করেছে। পরবর্তীতে লোপার লাশ বাড়িতেই দাফন দেই। আমি তখন থেকে কিছুদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকি। আমি স্বাভাবিক হলে বুঝতে পারি আমার মেয়ে লোপাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমি বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।’

এই বিষয়ে জানতে দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারকে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।