মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ছয় আরবদেশের সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার ইসরায়েলে ফিরেছেন। সংহতি দেখাতে তেল আবিব সফরের মাত্র চার দিন পর ব্লিনকেন আবারও সেখানে ফিরলেন।
ব্লিনকেন রবিবার কায়রোতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমাদের অন্য অংশীদারদের সঙ্গে দেখা করে এবং আমাদের ইসরায়েলি মিত্র ও বন্ধুদের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পথ সম্পর্কে কথা বলার জন্য আমি যা শুনেছি, যা আমি শিখেছি তা ভাগ করে নেওয়ার একটি সুযোগ চাই।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা সুরক্ষিত সীমান্ত ভেঙ্গে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। এত এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। হামলার জবাবে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ অবরুদ্ধ ও দরিদ্র গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল নিরলস বোমা হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ৭৫০ জন নিহত হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ব্লিনকেন তার সফরের সময় নেতাদের কাছ থেকে হামাসের ব্যাপক বিরোধিতা শুনেছেন। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কায়রোতে ব্লিনকেন বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে দিয়েছি, হামাসের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে আলোচনা করা সম্ভব নয়। একই সময়ে আমি বলেছি, আমরা গাজার মানুষের চাহিদা মেটাতে যা যা করতে পারি তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
হামাসের নৃশংসতার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের কষ্ট পাওয়া উচিত না। ব্লিনকেন ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে পাঁচটি আরবদেশের মধ্যে চারটির সঙ্গে আলোচনা করেছেন—জর্দান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। তিনি সৌদি আরব ও কাতারও সফর করেছেন। এদের মধ্যে রিয়াদ সহিংসতার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের আলোচনা স্থগিত করেছে। অন্যদিকে মার্কিন অংশীদার কাতার হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে।