বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অনন্য অবদান রয়েছে। শুধু মুক্তিযুদ্ধেই নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণেও পুলিশের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আর্ট গ্যালারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎপরতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরই একটি অনন্য প্রচেষ্টা বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্থাপন।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য বিভিন্ন স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। যে কেউ আমাদের এ সংগ্রহশালায় স্বাধীনতা যুদ্ধের নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারেন।
সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের নামে আর্ট গ্যালারির নামকরণের পটভূমি উল্লেখ করে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, তিনি সেসময় পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য নিজের আরাম-আয়েশ তুচ্ছ করে, পরিবার বিপদগ্রস্ত হতে পারে জেনেও ভারতে গিয়ে সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পরিবার ওই সময় অনেক কষ্ট করে জাতির জন্য ত্যাগ শিকার করেছেন। মুখ্য আলোচক অধ্যাপক হাশেম খান বলেন, শুধুমাত্র ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল দিয়ে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তান বাহিনীকে রুখে দিয়েছিলেন। মর্টার, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনী ভাবতে পারেনি ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল দিয়ে তাদের মোকাবিলা করা হবে।
সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আর্ট গ্যালারি উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি জাতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আর্ট গ্যালারির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন ভাষা আছে। আর্টেরও একটি বৈশ্বিক ভাষা আছে। এটি একটি চিরায়ত মাধ্যম, সার্বজনীন মাধ্যম। সমাজ ও সংস্কৃতি বাঁচাতেও পুলিশের ভূমিকা আছে। কারণ পুলিশ সমাজেরই অংশ।