ফেনীর দাগনভূঞায় অপহৃত রায়হান রানা (২২) কে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপহরণ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে দাগনভূঞা থানা পুলিশ।
বুধবার (৩জুলাই) বিকালে দাগনভূঞা পৌরসভার সাতবাড়িস্থ লাতু মিয়া কলোনির বুদ্দির টিনসেড বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাগনভূঞা থানা ওসি আবুল হাসিম।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলেন, উত্তর করিমপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৩), বাসুদেবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম পিন্টু (৩৪), জগতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আজমীর হোসেন হৃদয় (২৬), আমানউল্যাপুরের দিনেশ দাশের ছেলে টিটু দাশ (৩৩), দক্ষিণ জগতপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আল জাবের (২৫)।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, রায়হান রানা চট্রগ্রামে মাছের ট্রলারে চাকুরী করে। চট্রগ্রাম থেকে রায়হানের গ্রামের বাড়ী লক্ষীপুর জেলার রামগতির কলাকোপায় মঙ্গলবার যাওয়ার সময় রানার বন্ধু দাগনভূঞার সাতবাড়ির বুদ্দিকে জানায়। বুদ্দি রানাকে দাগনভূঞায় নেমে দুপুরে খেয়ে যাওয়ার কথা বললে রানা বিশ্বাস করে বন্ধুর কথায় রাজি হয়। ওইদিন দুপুরে রানা দাগনভূঞায় জিরোপয়েন্টে নেমে বুদ্দির সাথে দেখা করে দুপুরে খাওয়া শেষে বাড়ি যেতে চাইলে কৌশল করে বুদ্দি রানাকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকিয়ে রাখে। ফোনে রানার নিকটাত্মীয় বিবি শাহনাজকে ৬লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। বিবি শাহনাজ রানার পিতা মো. বেলাল হোসেনকে বিষয়টি জানালে বেলাল হোসেন দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করেন এবং ছেলে রানা উদ্ধার করার জন্য মামলা করেন।
পুলিশ মামলার আলোকে তাৎক্ষনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ভিকটিম রানা ও অপহরনকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে পৌরসভার সাতবাড়ির জামে মসজিদের লাতু মিয়ার কলোনীতে বুদ্দির ভাড়া বাসা হতে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম রায়হান রানাকে বুধবার বিকালে উদ্ধার করে।
অপহরনকারী দলের অপর সদস্যরা নুরুল ইসলাম লাতু, জুয়েল, জনি, রুবেল, আশ্রাফ ও রায়হান পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. আবুল হাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধৃত আসামীদের জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।