ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি মুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস চলমান আন্দোলনকে আদালত বিরোধী বলা দেশকে মেধাশূণ্য করার নামান্তর: ইসলামী আন্দোলন নারীর গোসলের ভিডিও করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্য ডুয়েট শিক্ষার্থী রিফাত-তাওহীদ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ বগুড়ায় স্বপ্নপূরণ স্কুলে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি থেকে এমপি হলেন ২২ বছরের স্যাম কার্লিং কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বাধা, হল গেটে তালা

সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আলাদা ব্যানারে মিছিল নিয়ে কোটা আন্দোলনে যোগ দেন তারা। তবে ঢাবির একাধিক হলে কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, এদিন বিজয় একাত্তর হল ও জহুরুল হক হল গেটে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। হলের শিক্ষার্থীরা যেন কোটা আন্দোলনে যেতে না পারেন সে জন্য সূর্যসেন হলের গেটে তালা লাগানো হয়। এছাড়া জসিম উদ্দিন হলের চারতলায় আটকে রাখা হয় কিছু শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও হলে কোটা আন্দোলনকারীরা প্রচারণা করতে গেলে তাদের বের করে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সূর্যসেন হলে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় আগামী এক ঘণ্টার জন্য বের হওয়া যাবে না। পরে আমি বলেছি, আমি মুহসীন হলে থাকি। তারপরও তারা জেরা করেছে৷ পরে জার্সিতে মুহসীন হল লেখা দেখে আমাকে ছাড়ে।

জসিম উদ্দিন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সাদ্দাম ও সৈকত গ্রুপের কর্মীরা বাধা দিয়েছে। হলের চার তলায় আমাদের আটকে রেখেছে।

এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, এখানে কোটা আন্দোলনকারীরা হ্যান্ড মাইকে আমাদের ডাকতে আসেন কিন্তু তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভেতরে সমস্যা থেকে এমন করতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের কোথাও যেতে বাধা দিচ্ছে না৷

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটি পুনর্বহাল করা হয়। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল

কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বাধা, হল গেটে তালা

আপডেট সময় ০২:৪১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আলাদা ব্যানারে মিছিল নিয়ে কোটা আন্দোলনে যোগ দেন তারা। তবে ঢাবির একাধিক হলে কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, এদিন বিজয় একাত্তর হল ও জহুরুল হক হল গেটে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। হলের শিক্ষার্থীরা যেন কোটা আন্দোলনে যেতে না পারেন সে জন্য সূর্যসেন হলের গেটে তালা লাগানো হয়। এছাড়া জসিম উদ্দিন হলের চারতলায় আটকে রাখা হয় কিছু শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও হলে কোটা আন্দোলনকারীরা প্রচারণা করতে গেলে তাদের বের করে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সূর্যসেন হলে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় আগামী এক ঘণ্টার জন্য বের হওয়া যাবে না। পরে আমি বলেছি, আমি মুহসীন হলে থাকি। তারপরও তারা জেরা করেছে৷ পরে জার্সিতে মুহসীন হল লেখা দেখে আমাকে ছাড়ে।

জসিম উদ্দিন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সাদ্দাম ও সৈকত গ্রুপের কর্মীরা বাধা দিয়েছে। হলের চার তলায় আমাদের আটকে রেখেছে।

এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, এখানে কোটা আন্দোলনকারীরা হ্যান্ড মাইকে আমাদের ডাকতে আসেন কিন্তু তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভেতরে সমস্যা থেকে এমন করতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের কোথাও যেতে বাধা দিচ্ছে না৷

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটি পুনর্বহাল করা হয়। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।