বোর্ডে পরিচালকদের নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে এলেন নাজমুল হাসান পাপন। শুরুতে তিনি জানালেন বোর্ড সভায় আলোচ্য বিষয়গুলোই। এর আগেই অবশ্য জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকদের কাছে, কী নিয়ে কথা বলতে চান?
অনুমতিভাবেই তাদের আগ্রহ ছিল বিশ্বকাপ নিয়ে। কিন্তু পাপনই তখন বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলতে বললে শেষই হবে না…’। শুরুতে অন্য বিষয়গুলো বললেন তিনি। পরে যখন বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাওয়া হলো, পাপনের উত্তর ছিল প্রায় দশ মিনিট।
ওই উত্তরের এক ফাঁকে অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পাপন বলেন, ‘অনেকে যে যা কথাই বলুক, শান্ত ওর পারফরম্যান্স দিয়েই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হয়েছে; ও আকাশ থেকে উড়ে আসেনি। ও পারফর্ম করেই এসেছে। এসে এখন পারছে না সেটা আলাদা ইস্যু। ’
এবার বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে সুপার এইটে যায়। কিন্তু এই পর্বে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। প্রথম পর্ব ও অপেক্ষাকৃত তরুণদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বলে জানান পাপন। তবে তিনি খুশি নন সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে।
তিনি বলেন, ‘প্রথম রাউন্ডের খেলা দেখে আমরা খুশি হয়েছি। যেখানে খেলা হয়েছে, যে কোনো দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারতো। এদিক দিয়ে আমি বলবো আমি খুশি। আবার আরেকটা জিনিস উল্টো হয়ে গেছে, এত বছরের অভিজ্ঞতা কোনো কাজেই আসলো না। ’
‘আমি ভাবছিলাম নতুন ছেলেদের নেওয়া সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এরা কিছু করতে পারবে না। আমাদের সিনিয়ররা ভালো করবে। কিন্তু এটা হয়ে গেছে উল্টো। সিনিয়ররা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। বরং নতুন ছেলেরা ভালো করেছে। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে ওই প্রত্যাশা আমি করিনি, এজন্য ভালো লেগেছে। ’
‘অন্যদিকে শান্ত, লিটন দাস, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ওদের কাছ থেকে যে প্রত্যাশা ছিল, ওরা তো সব ম্যাচ ভালো খেলবে না। কিন্তু কিছু ম্যাচ, ওদের কাছে যে প্রত্যাশা করেছিলাম; ওটা পূরণ করতে পারেনি। এদিক দিয়ে মনটা একটু খারাপ। ’