ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

গাইবান্ধায় বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বেড়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৬৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একইভাবে ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পায়। তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি বিপৎসীমা এখনো অতিক্রম করেনি। আজ জেলায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, টানা কয়েকদিনে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান

গাইবান্ধায় বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

আপডেট সময় ০৯:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বেড়েছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বেড়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৬৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একইভাবে ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পায়। তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি বিপৎসীমা এখনো অতিক্রম করেনি। আজ জেলায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, টানা কয়েকদিনে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।