ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘শহীদ’ শব্দের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো মেটা কর্তৃপক্ষ

আরবি ‘শহীদ’ শব্দটি নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা।

বুধবার (৩ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

চলতি বছরের মার্চে ‘শহীদ’-এর ওপর থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে আসতে মেটাকে আহ্বান জানায় প্রতিষ্ঠানটির ওভারসাইট বোর্ড।

মেটা জানায়, ‘যদি শব্দটির ব্যবহারে কোনো সহিংসতার স্পষ্ট লক্ষণ থাকলে বা আলাদাভাবে মেটার অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গ করলে; কেবল তখনই এই শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি থাকা উচিত এবং তা মুছে ফেলা উচিত।’

মেটার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ওভারসাইট বোর্ডের সদস্যরা।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কনটেন্ট নিয়ে বছরের পর বছর সমালোচিত হয়ে আসছিল মেটা। এমনকি ২০২১ সালে মেটার নিজের অর্থায়নে করা এক সমীক্ষাতেই উঠে আসে, ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য আরবি ভাষার ব্যবহারকারীদের ওপরে কোম্পানির বিভিন্ন পদ্ধতি মানবাধিকার প্রশ্নে ‘বিরূপ প্রভাব’ ফেলছে।

গত অক্টোবরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই এ সমালোচনা আরও বেড়েছে। ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের অভিযান ও পরে গাজায় কয়েক হাজার মানুষকে হত্যার বিষয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী কনটেন্ট দমন করার জন্য মেটাকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

ট্যাগস :

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন

‘শহীদ’ শব্দের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো মেটা কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় ০৬:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

আরবি ‘শহীদ’ শব্দটি নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা।

বুধবার (৩ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

চলতি বছরের মার্চে ‘শহীদ’-এর ওপর থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে আসতে মেটাকে আহ্বান জানায় প্রতিষ্ঠানটির ওভারসাইট বোর্ড।

মেটা জানায়, ‘যদি শব্দটির ব্যবহারে কোনো সহিংসতার স্পষ্ট লক্ষণ থাকলে বা আলাদাভাবে মেটার অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গ করলে; কেবল তখনই এই শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি থাকা উচিত এবং তা মুছে ফেলা উচিত।’

মেটার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ওভারসাইট বোর্ডের সদস্যরা।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কনটেন্ট নিয়ে বছরের পর বছর সমালোচিত হয়ে আসছিল মেটা। এমনকি ২০২১ সালে মেটার নিজের অর্থায়নে করা এক সমীক্ষাতেই উঠে আসে, ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য আরবি ভাষার ব্যবহারকারীদের ওপরে কোম্পানির বিভিন্ন পদ্ধতি মানবাধিকার প্রশ্নে ‘বিরূপ প্রভাব’ ফেলছে।

গত অক্টোবরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই এ সমালোচনা আরও বেড়েছে। ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের অভিযান ও পরে গাজায় কয়েক হাজার মানুষকে হত্যার বিষয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী কনটেন্ট দমন করার জন্য মেটাকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।