ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরাগ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে মাঝিদের মানববন্ধন

তুরাগ নৌকা মাঝি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং : ঢাকা-৫৭৪৩)-এর উদ্যোগে তুরাগ নদীর আব্দুল্লাহপুর আইচি হাসপাতাল ঘাটের বিট ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, নৌকা চলাচল বন্ধ ও মাঝিদের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মাঝিদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ আলী।

মাঝিরা বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে আমরা এই ঘাটে যাত্রী পারাপার করে আসছি। ২৫ টাকা ফি হতে শুরু করে আজকে ২৬০ টাকা ফি দিচ্ছি। যাত্রী পারাপার করে আমাদের সর্বোচ্চ দৈনিক আয় ৬০০-৭০০ টাকা। দিনশেষে আমরা ৩০০-৪০০ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরি। এতোদিন যারা ইজারা নিতেন তারা মাঝিদের সাথে আলোচনা করে বিট ভাড়া ঠিক করতেন। কিন্তু নতুন ইজারাদার কোনো আলোচনা ছাড়াই গত পরশু (রবিবার) আমাদেরকে জানিয়েদেন নৌকা চালাতে হলে দৈনিক বিট ভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হবে।

আমরা মাঝিরা তার কাছে বিনীতভাবে নিবেদন করেছি, আমাদের যা আয় তা দিয়ে ৫০০ টাকা সম্ভব না। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনতে চান না। এমতাবস্থায় গত দুই দিন ধরে ঘাটে নৌকা চালাতে দিচ্ছেন না। উপরন্তু তিনি ঘাটে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নামিয়ে অধিক ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করছেন।

মাঝিরা বলেন, আজকে ৫৮টি নৌকা মাঝির পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। আমাদের ঘরে ভাত নেই। আয়-উপার্জন বন্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি মানবতার মা। আপনি আমাদের অসহায় পরিবারের দিকে একবার তাকান। আমাদের ছোট বাচ্চারা আজ না খেয়ে আছে। আমাদের ঘরে কর্মঅক্ষম বৃদ্ধ পিতা-মাতা আছে। তারা অসহায় ভাবে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

মাননীয় শ্রমমন্ত্রী, নৌ-মন্ত্রী, শ্রম অধিদপ্তর, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা আমাদের প্রতি দয়া করুন। পূর্বের বিট ভাড়া বহাল রেখে আমাদেরকে যাত্রী পারাপারে সুযোগ দিন। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার সুযোগ দিন।

জনপ্রিয় সংবাদ

তুরাগ নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে মাঝিদের মানববন্ধন

আপডেট সময় ১১:৫২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

তুরাগ নৌকা মাঝি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং : ঢাকা-৫৭৪৩)-এর উদ্যোগে তুরাগ নদীর আব্দুল্লাহপুর আইচি হাসপাতাল ঘাটের বিট ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, নৌকা চলাচল বন্ধ ও মাঝিদের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মাঝিদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ আলী।

মাঝিরা বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে আমরা এই ঘাটে যাত্রী পারাপার করে আসছি। ২৫ টাকা ফি হতে শুরু করে আজকে ২৬০ টাকা ফি দিচ্ছি। যাত্রী পারাপার করে আমাদের সর্বোচ্চ দৈনিক আয় ৬০০-৭০০ টাকা। দিনশেষে আমরা ৩০০-৪০০ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরি। এতোদিন যারা ইজারা নিতেন তারা মাঝিদের সাথে আলোচনা করে বিট ভাড়া ঠিক করতেন। কিন্তু নতুন ইজারাদার কোনো আলোচনা ছাড়াই গত পরশু (রবিবার) আমাদেরকে জানিয়েদেন নৌকা চালাতে হলে দৈনিক বিট ভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হবে।

আমরা মাঝিরা তার কাছে বিনীতভাবে নিবেদন করেছি, আমাদের যা আয় তা দিয়ে ৫০০ টাকা সম্ভব না। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনতে চান না। এমতাবস্থায় গত দুই দিন ধরে ঘাটে নৌকা চালাতে দিচ্ছেন না। উপরন্তু তিনি ঘাটে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নামিয়ে অধিক ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করছেন।

মাঝিরা বলেন, আজকে ৫৮টি নৌকা মাঝির পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। আমাদের ঘরে ভাত নেই। আয়-উপার্জন বন্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।

আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি মানবতার মা। আপনি আমাদের অসহায় পরিবারের দিকে একবার তাকান। আমাদের ছোট বাচ্চারা আজ না খেয়ে আছে। আমাদের ঘরে কর্মঅক্ষম বৃদ্ধ পিতা-মাতা আছে। তারা অসহায় ভাবে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

মাননীয় শ্রমমন্ত্রী, নৌ-মন্ত্রী, শ্রম অধিদপ্তর, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা আমাদের প্রতি দয়া করুন। পূর্বের বিট ভাড়া বহাল রেখে আমাদেরকে যাত্রী পারাপারে সুযোগ দিন। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার সুযোগ দিন।