ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মা, লাশ খালে ফেলেন বাবা: পুলিশ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:১১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • 22

শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মা, লাশ খালে ফেলেন বাবা: পুলিশ

গভীর রাতে কান্নাকাটি করায় বিরক্ত হয়ে মুখে ওড়না চেপে ধরে নুসরাত জাহান তিথি নামে ছয় মাসের এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মা। পরে বাড়ির পাশের খালে শিশুটির মরদেহ ফেলে আসেন বাবা। পুলিশের কাছে ধরা পরার পর মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন এ তথ্য জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে গত ৩০ জুন রাতে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে বাড়ির পাশের খাল থেকে মারা যাওয়া তিথির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (২ জুলাই) জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে মরদেহ।

মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাবা-মা হলেন, জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগম। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগম প্রতিদিনের মতো শিশু তিথিকে নিয়ে গত রোববার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। কান্নাকাটি করায় শিশুটির মুখে ওড়না চেপে ধরেন মা স্বপ্না বেগম। এতে শ্বাসরোধে তিথি মারা যায়। রাতেই তিথির মরদেহ বাবা জিল্লুর রহমান বাড়ির পাশের খালে ফেলে আসেন।

গতকাল সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বপ্না বেগম তার সন্তান তিথিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে চিৎকার শুরু করেন। তিথির বাবা জানায়, ঘরের দরজা-জানালা লাগানো অবস্থায় তাদের সন্তান নিখোঁজ হয়েছে। এটি জিন-ভূতের কাণ্ড বলেও তারা প্রচার করেন। বিষয়টি জানার পর এই দম্পতির বাড়িতে লোকজনের ভিড় জমে। পুলিশও আসে।

সন্তান নিখোঁজের কথা উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন মা। গতকাল রাতে বাড়ির পাশের খাল থেকে তিথির মরদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই শিশুটির বাবা-মাকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে এই দম্পতি সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে শিশুটির মা-বাবা কারো মধ্যে কোনো অনুশোচনা ছিল না। তারা এসে সন্তান নিখোঁজের কথা জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ দম্পতির দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। তাদের ১০ বছর বয়সী আরো একটি মেয়ে রয়েছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মা, লাশ খালে ফেলেন বাবা: পুলিশ

আপডেট সময় ১০:১১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

গভীর রাতে কান্নাকাটি করায় বিরক্ত হয়ে মুখে ওড়না চেপে ধরে নুসরাত জাহান তিথি নামে ছয় মাসের এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মা। পরে বাড়ির পাশের খালে শিশুটির মরদেহ ফেলে আসেন বাবা। পুলিশের কাছে ধরা পরার পর মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন এ তথ্য জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে গত ৩০ জুন রাতে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে বাড়ির পাশের খাল থেকে মারা যাওয়া তিথির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (২ জুলাই) জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে মরদেহ।

মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাবা-মা হলেন, জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগম। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগম প্রতিদিনের মতো শিশু তিথিকে নিয়ে গত রোববার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। কান্নাকাটি করায় শিশুটির মুখে ওড়না চেপে ধরেন মা স্বপ্না বেগম। এতে শ্বাসরোধে তিথি মারা যায়। রাতেই তিথির মরদেহ বাবা জিল্লুর রহমান বাড়ির পাশের খালে ফেলে আসেন।

গতকাল সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বপ্না বেগম তার সন্তান তিথিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে চিৎকার শুরু করেন। তিথির বাবা জানায়, ঘরের দরজা-জানালা লাগানো অবস্থায় তাদের সন্তান নিখোঁজ হয়েছে। এটি জিন-ভূতের কাণ্ড বলেও তারা প্রচার করেন। বিষয়টি জানার পর এই দম্পতির বাড়িতে লোকজনের ভিড় জমে। পুলিশও আসে।

সন্তান নিখোঁজের কথা উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন মা। গতকাল রাতে বাড়ির পাশের খাল থেকে তিথির মরদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই শিশুটির বাবা-মাকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে এই দম্পতি সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে শিশুটির মা-বাবা কারো মধ্যে কোনো অনুশোচনা ছিল না। তারা এসে সন্তান নিখোঁজের কথা জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ দম্পতির দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। তাদের ১০ বছর বয়সী আরো একটি মেয়ে রয়েছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।