ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবাধিকার প্রতিবেদন : গত মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ২৫, আহত ৮২২ জন

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৬:৫৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • 116

জুনে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ২৫, আহত ৮২২ জন

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক অনেক সাফল্য অর্জন করলেও আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও জনগনের ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা সমাবেশ করার অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর অধিকারসহ সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির আশাব্যাঞ্জক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি থাকা সত্বেও বাংলাদেশে নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, মাসজুড়ে নির্বাচনী সহিংসতা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও গ্রেফতার, সাংবাদিকদের উপর হামলা, হেফাজতে মৃত্যু, গণপিটুনিতে নিরীহ মানুষ হত্যা, সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আইনবহির্ভূত আচরণ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী নির্যাতন ও হত্যার মত বিভিন্ন বিষয় মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

বাংলাদেশের ১২টি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এইচআরএসএস’ এর তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুন মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ সকল তথ্য উঠে এসেছে ।

জুন মাসে ১১১ টি “রাজনৈতিক সহিংসতার” ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন, এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২২ জন। যার অধিকাংশই নির্বাচনী সহিংসতায় এবং আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রিক ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ও অঙ্গসংগঠনের অন্তর্কোন্দল কেন্দ্রিক সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনই সরকারি দলের নেতা ও কর্মী।

জুন মাসে নির্বাচনী সহিংসতার অন্তত ৬৩ টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০১ জন। নিহত ১০ জনের সকলেই সরকারি দলের নেতা ও কর্মী। অধিকাংশ ঘটনাই চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীক আওয়ামীলীগের অভ্যণÍরীণ ঘটনা। দেশে আগের পাঁচ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ে এবার কম ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ভোটার খরার মধ্যেই সারা দেশে হামলা, সংঘর্ষ, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ প্রায় সকল ধরণের অনিয়ম ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীক কমপক্ষে ৫৯ টি সহিংসতায় অন্তত ৩৮৬ জন আহত ও ১০ জন নিহত, এবং অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

এই মাসে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে আফরোজা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার এক ছেলে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ মাকে মারধর করেছে এবং তাঁর চুল ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে তাঁর মাকে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে এক বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় নিজাম উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়াও এমাসে কারাগারে ০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ মাসে অন্তত ১৯ টি হামলার ঘটনায় ২৫ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন; আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৩ জন, হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন ০৪ জন, গ্রেফতার হয়েছেন ০২ জন ও ০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আশঙ্কাজনকভাবে, সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর অধীনে দায়ের করা ৪ টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪ জন এবং অভিযুক্ত করা হয়েছে ১০ জন।

জুন মাসে ২৬ টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ০৫ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ০৯ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন। এটি উদ্বেগজনক যে, এ মাসে “গণপিটুনির” ০৬ টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ০৩ জন এবং আহত হয়েছেন ০৪ জন। এছাড়াও “ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)” কর্তৃক ০৫ টি হামলার ঘটনায় ০২ জন বাংলাদেশী নিহত, ০৪ জন আহত ও ০২ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

জুন মাসে ১৭৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৭ জন, যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে ৪০ (৭০%) জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে, ১৫ জন নারী ও কন্যা শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে এবং আত্মহত্যা করেছেন ০২ জন। ৩৯ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন তন্মধ্যে শিশু ২০ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ০৭ জন। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ৪৩ জন, আহত হয়েছেন ১২ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ০৫ জন নারী। অন্যদিকে, এটি উদ্বেগজনক যে, ১৩৩ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যাদের মধ্যে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮৬ জন শিশু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

রিপোর্টে বর্ণিত পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। এমতাবস্থায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে বিরোধী দলসমূহের সাথে আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগনের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এ সকল বিষয় বাস্তবায়ন করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে। তাই “হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি”র পক্ষ থেকে সরকারকে মানবাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে এবং দেশের সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও দেশি-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠন গুলোকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

মানবাধিকার প্রতিবেদন : গত মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ২৫, আহত ৮২২ জন

আপডেট সময় ০৬:৫৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক অনেক সাফল্য অর্জন করলেও আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও জনগনের ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা সমাবেশ করার অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর অধিকারসহ সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির আশাব্যাঞ্জক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি থাকা সত্বেও বাংলাদেশে নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, মাসজুড়ে নির্বাচনী সহিংসতা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও গ্রেফতার, সাংবাদিকদের উপর হামলা, হেফাজতে মৃত্যু, গণপিটুনিতে নিরীহ মানুষ হত্যা, সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আইনবহির্ভূত আচরণ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী নির্যাতন ও হত্যার মত বিভিন্ন বিষয় মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

বাংলাদেশের ১২টি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এইচআরএসএস’ এর তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুন মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ সকল তথ্য উঠে এসেছে ।

জুন মাসে ১১১ টি “রাজনৈতিক সহিংসতার” ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন, এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২২ জন। যার অধিকাংশই নির্বাচনী সহিংসতায় এবং আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রিক ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ও অঙ্গসংগঠনের অন্তর্কোন্দল কেন্দ্রিক সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনই সরকারি দলের নেতা ও কর্মী।

জুন মাসে নির্বাচনী সহিংসতার অন্তত ৬৩ টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০১ জন। নিহত ১০ জনের সকলেই সরকারি দলের নেতা ও কর্মী। অধিকাংশ ঘটনাই চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীক আওয়ামীলীগের অভ্যণÍরীণ ঘটনা। দেশে আগের পাঁচ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ে এবার কম ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ভোটার খরার মধ্যেই সারা দেশে হামলা, সংঘর্ষ, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ প্রায় সকল ধরণের অনিয়ম ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীক কমপক্ষে ৫৯ টি সহিংসতায় অন্তত ৩৮৬ জন আহত ও ১০ জন নিহত, এবং অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

এই মাসে যশোরের অভয়নগর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে আফরোজা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার এক ছেলে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ মাকে মারধর করেছে এবং তাঁর চুল ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে তাঁর মাকে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে এক বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় নিজাম উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়াও এমাসে কারাগারে ০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ মাসে অন্তত ১৯ টি হামলার ঘটনায় ২৫ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন; আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৩ জন, হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন ০৪ জন, গ্রেফতার হয়েছেন ০২ জন ও ০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আশঙ্কাজনকভাবে, সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর অধীনে দায়ের করা ৪ টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪ জন এবং অভিযুক্ত করা হয়েছে ১০ জন।

জুন মাসে ২৬ টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ০৫ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ০৯ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন। এটি উদ্বেগজনক যে, এ মাসে “গণপিটুনির” ০৬ টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ০৩ জন এবং আহত হয়েছেন ০৪ জন। এছাড়াও “ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)” কর্তৃক ০৫ টি হামলার ঘটনায় ০২ জন বাংলাদেশী নিহত, ০৪ জন আহত ও ০২ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

জুন মাসে ১৭৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৭ জন, যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে ৪০ (৭০%) জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে, ১৫ জন নারী ও কন্যা শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে এবং আত্মহত্যা করেছেন ০২ জন। ৩৯ জন নারী ও কন্যা শিশু যৌন নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন তন্মধ্যে শিশু ২০ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ০৭ জন। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন ৪৩ জন, আহত হয়েছেন ১২ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ০৫ জন নারী। অন্যদিকে, এটি উদ্বেগজনক যে, ১৩৩ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যাদের মধ্যে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮৬ জন শিশু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

রিপোর্টে বর্ণিত পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। এমতাবস্থায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে বিরোধী দলসমূহের সাথে আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগনের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এ সকল বিষয় বাস্তবায়ন করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে। তাই “হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি”র পক্ষ থেকে সরকারকে মানবাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে এবং দেশের সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও দেশি-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠন গুলোকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।