সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এতে কার্যত অচল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে, বন্ধ রয়েছে দাপ্তরিক কার্যক্রমও। সেমিনার, লাইব্রেরি, গবেষণাগার, মেডিকেল সেন্টারসহ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ আন্দোলনে ভুক্তভোগী হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের শঙ্কায় পড়েছেন। তবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
গতকালের ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবারও (২ জুলাই) সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি চলছে। সবার সাথে একত্মতা জানিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না বলে জানান তারা।
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এটিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে সরব হন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিছু কর্মসূচি পালনের পর ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এরপরও দাবির বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন তিন দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। গত বছর সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়। ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বলা হয়, চলতি বছর ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যারা নতুন যোগ দেবেন, তারা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসর-উত্তর পেনশন-সুবিধা পাবেন না। এর পরিবর্তে নতুনদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে।