দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, আমরা মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই, এ দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না। সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি কথা বলেন।
জঙ্গি নির্মূলে বাংলাদেশ কতটুকু সফল—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। এ ঘটনায় বিদেশি নাগরিকসহ পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন। পরে র্যাব ও পুলিশ, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব ও পুলিশ অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। অনেক জঙ্গিকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে এখন আর ওইভাবে জঙ্গি তৎপরতার তথ্য নেই। জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এখন নিরাপদ একটি দেশ।
জঙ্গি দমনে র্যাবের সফলতা উল্লেখ করে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, র্যাব সূচনালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদের বিষয়ে র্যাবের নজরদারি রয়েছে। র্যাব এখন একটি আধুনিক এবং পেশাদার বাহিনী। ভবিষ্যতে এ দেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। র্যাবের সেই সক্ষমতা আছে।
জঙ্গি সংগঠন আনসার ইসলাম ও আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাবে বলেন, আমরা এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। গত সপ্তাহেও চট্টগ্রাম থেকে তিন জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিকই জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করছি। র্যাবের ডিজি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গিরা একসময় নানা প্রচারণার চেষ্টা করেছে। জঙ্গিরা একসময় ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করেছে। আমরা কিন্তু এসব বিষয়ে নজরদারি করছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় অস্বস্তিতে ফেলায় গোটা দেশকে। দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বহির্বিশ্বেও। পরে সেনা, পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মিলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। তবে, এর আগেই জঙ্গিরা জিম্মি করে রাখা দেশি-বিদেশি মিলে ২৮ ব্যক্তিকে হত্যা করে।