টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল দেশে ফেরার এক সপ্তাহ পার না হতেই বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভা। আগামী ২ জুলাই দুপুরে বোর্ডের সভায় বসবেন বিসিবি পরিচালকরা। মঙ্গলবারের সভাটি বোর্ডের নির্ধারিত সভা। তবে জানা গেছে, জাতীয় দলের বিশ্বকাপ পারফরমেন্স এবং ফল নিয়ে সে সভায় বিষদ আলোচনা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবারের ওই সভায় জাতীয় দলের কোচ নিয়ে কথা উঠবে। তারা জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ তথা টিম ম্যানেজমেন্টের পারফরমেন্সে নাখোশ। পরিচালকদের বড় অংশ চান জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তাদের দাবি, ২ জুলাইয়ের বোর্ড সভায় হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে উপস্থিত রেখে তাদের মুখ থেকে জাতীয় দলের সামগ্রিক পারফরমেন্স ও ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ শোনা উচিৎ। তাতে করে অনেক বিষয়ই পরিষ্কার হতো।
বোর্ড পরিচালকরাও তাদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারতেন। জানা গেছে, পরিচালকদের একটা বড় অংশ জাতীয় দলের ভিনদেশি কোচিং স্টাফ সম্পর্কে ভেবে চিন্তে নতুন সিদ্ধান্ত নেবার দাবিতে সোচ্চার।
তাদের সোজা কথা, এটা প্রমাণিত যে, হাজার হাজার ডলার বেতন দিয়ে বিদেশি কোচ রেখে কাঙ্খিত উন্নতি হয়নি। কোটি কোটি টাকা বেতন নিয়ে ওই সব বিদেশি কোচরা আসলে জাতীয় দলকে কি দিচ্ছেন? তাদের কাজ কতটা সন্তোষজনক, তা থেকে ক্রিকেটারদের কেমন উন্নতি হচ্ছে? এসব বিষয়ে নজরদারি এবং খবরদারিও কম।
কাজেই ২ জুলাইয়ের বোর্ড সভায় জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের ব্যাপারে একটা পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জোর তাগিদ বোর্ড পরিচালকদের। ভেতরের খবর, শুধু বিদেশি কোচিং স্টাফদের কাজকর্মের ঢালাও পর্যালোচনাই শুধু নয়, বিদেশি কোচের বদলে দেশি কোচ নিয়োগের দাবি ওঠারও সম্ভাবনা প্রবল।
বোর্ডের একাংশ চায় বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠিত কোচকে জাতীয় দল পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হোক। পছন্দের তালিকায় খালেদ মাহমুদ সুজন এবং মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের যে কোন একজনের হাতে অন্তত ২ বছরের জন্য জাতীয় দল পরিচালনার সমুদয় দায়িত্ব অর্পনের দাবিতে সোচ্চার পরিচালকরা।
তাদের মনের কথা, বাংলাদেশের কোচরা আজকাল বিপিএলে হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন এবং তাদের অধীনে অনেক অনেক বড় ও বিশ্বমানের তারকারাও খেলে যান। এছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দেশি কোচদের অধীনে দেশের সব নামী ও প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার অংশ নেন।
কাজেই তাদের কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দেখা যাক। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিগত কারণে খালেদ মাহমুদ সুজন জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন। তবে তারও প্রবল ইচ্ছে দেশের অপর কোন প্রতিষ্ঠিত ও নামী কোচ দায়িত্ব নিক জাতীয় দলের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালেদ মাহমুদ সুজনের ফাস্ট চয়েজ; মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। তাকে ২ বছরের জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব দিলে কোন আপত্তি নেই পরিচালক ও আবাহনীর কোচ সুজনের।
একটা সময় বোর্ড কর্তাদের মুখেই শোনা যেত, দেশী কোচরা জাতীয় দল হ্যান্ডেল করতে পারবেন না, হাওয়া পাল্টেছে। এখন বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের কারো কারো ইচ্ছে দেশি কোচরাই দায়িত্ব নিক জাতীয় দলের।