ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না: সালাহউদ্দিন আহমদ Logo ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে শেখ হাসিনার বিচার Logo প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: আসিফ নজরুল Logo গরুর যে বুদ্ধি আছে তা অনেক মানুষের নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo টাঙ্গাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্ক Logo সিরাজগঞ্জে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রশিবির Logo ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে শেখ হাসিনার বিচার কার্যক্রম Logo হাতিয়ার মেঘনায় ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবি, ১৯ জন নিখোঁজ Logo রংপুরে ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলা, আটক ১ Logo ১০০ ব্যবসায়ী নিয়ে ঢাকায় এলেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও

জুলাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাবে ভারতের ট্রেন

জুলাইতে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একটি মালবাহী ট্রেন যাবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পাইলট প্রকল্পের অংশ এটি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেছেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। কিন্তু এই রুট থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে, তা অনিশ্চিত বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ তাদের।

রেল ট্রানজিট নিয়ে গত ২২ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী, ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে।

এর অংশ হিসেবে প্রথম পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কলকাতা থেকে বাংলাদেশের দর্শনা-চিলাহাটি হয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে মালবাহী ট্রেন। পরবর্তীতে এই রুট ভারতের হলদিবাড়ী হয়ে ভুটান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।

ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় জেনেছেন দুই দেশের সরকার ঘোষণা দিয়েছে। প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভালো হবে তার জন্য দুই দেশের সরকার ও জনগণ অপেক্ষা করছে।’

দুদেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চালু হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের রেললাইনে চালানোর সক্ষমতা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা উচিত।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমাদের রেলপথ তারা (ভারত) ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করলেও সেটা যেন আবার একটা সরাসরি থ্রু করিডর না হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত থেকে সরাসরি নেপাল বা ভুটানে নিয়ে যাবে, কিন্তু এই করিডর ব্যবহার করে আমরা রপ্তানি সুবিধা পাব না সেক্ষেত্রে কিন্তু দর কষাকষির ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে থাকব।’

রেল সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ভারত কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিনা সেই আলাপ কিন্তু আমাদের এখনও হয়নি। আমরা যখন এই লাইনগুলো এক্সটেনশন করব, তখন কি হবে সেটা সেপারেট থিং, আমরা পরে আলাপ করব। কোথা থেকে আমরা ফান্ডিংটা নেবো, নিজস্ব অর্থায়ণে করব নাকি আলাদা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার থেকে নেবো, সেটা এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নেই নি।’

ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা হয়ে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথে দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। ট্রেনে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু বাংলাদেশ হয়ে গেলে দূরত্ব কমবে পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটারে। সময় লাগবে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

জুলাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাবে ভারতের ট্রেন

আপডেট সময় ১২:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

জুলাইতে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একটি মালবাহী ট্রেন যাবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পাইলট প্রকল্পের অংশ এটি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেছেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। কিন্তু এই রুট থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে, তা অনিশ্চিত বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ তাদের।

রেল ট্রানজিট নিয়ে গত ২২ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী, ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে।

এর অংশ হিসেবে প্রথম পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কলকাতা থেকে বাংলাদেশের দর্শনা-চিলাহাটি হয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে মালবাহী ট্রেন। পরবর্তীতে এই রুট ভারতের হলদিবাড়ী হয়ে ভুটান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।

ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় জেনেছেন দুই দেশের সরকার ঘোষণা দিয়েছে। প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভালো হবে তার জন্য দুই দেশের সরকার ও জনগণ অপেক্ষা করছে।’

দুদেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চালু হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের রেললাইনে চালানোর সক্ষমতা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা উচিত।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমাদের রেলপথ তারা (ভারত) ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করলেও সেটা যেন আবার একটা সরাসরি থ্রু করিডর না হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত থেকে সরাসরি নেপাল বা ভুটানে নিয়ে যাবে, কিন্তু এই করিডর ব্যবহার করে আমরা রপ্তানি সুবিধা পাব না সেক্ষেত্রে কিন্তু দর কষাকষির ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে থাকব।’

রেল সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ভারত কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিনা সেই আলাপ কিন্তু আমাদের এখনও হয়নি। আমরা যখন এই লাইনগুলো এক্সটেনশন করব, তখন কি হবে সেটা সেপারেট থিং, আমরা পরে আলাপ করব। কোথা থেকে আমরা ফান্ডিংটা নেবো, নিজস্ব অর্থায়ণে করব নাকি আলাদা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার থেকে নেবো, সেটা এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নেই নি।’

ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা হয়ে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথে দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। ট্রেনে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু বাংলাদেশ হয়ে গেলে দূরত্ব কমবে পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটারে। সময় লাগবে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা।