ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস Logo ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি Logo অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ Logo যৌথবাহিনীর অভিযানে গুলিসহ সেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক Logo নওগাঁর ধামইরহাট থানা থেকে ট্রাংক ভেঙে এইচএসসি ২০২৫ এর প্রশ্নপত্র চুরি Logo মুখ ফসকে’ ইসরায়েলের বিপক্ষে বক্তব্য দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত Logo ইরাক আগ্রাসনের মতো মিথ্যা অজুহাতে ইসরায়েলের হামলা’ Logo মে মাসে প্রবাসী আয় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা Logo হজযাত্রীর কোটা না বাড়াতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ ধর্ম উপদেষ্টার Logo ত্রিপক্ষীয় নতুন জোটে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মতি

জুলাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাবে ভারতের ট্রেন

জুলাইতে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একটি মালবাহী ট্রেন যাবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পাইলট প্রকল্পের অংশ এটি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেছেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। কিন্তু এই রুট থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে, তা অনিশ্চিত বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ তাদের।

রেল ট্রানজিট নিয়ে গত ২২ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী, ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে।

এর অংশ হিসেবে প্রথম পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কলকাতা থেকে বাংলাদেশের দর্শনা-চিলাহাটি হয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে মালবাহী ট্রেন। পরবর্তীতে এই রুট ভারতের হলদিবাড়ী হয়ে ভুটান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।

ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় জেনেছেন দুই দেশের সরকার ঘোষণা দিয়েছে। প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভালো হবে তার জন্য দুই দেশের সরকার ও জনগণ অপেক্ষা করছে।’

দুদেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চালু হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের রেললাইনে চালানোর সক্ষমতা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা উচিত।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমাদের রেলপথ তারা (ভারত) ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করলেও সেটা যেন আবার একটা সরাসরি থ্রু করিডর না হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত থেকে সরাসরি নেপাল বা ভুটানে নিয়ে যাবে, কিন্তু এই করিডর ব্যবহার করে আমরা রপ্তানি সুবিধা পাব না সেক্ষেত্রে কিন্তু দর কষাকষির ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে থাকব।’

রেল সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ভারত কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিনা সেই আলাপ কিন্তু আমাদের এখনও হয়নি। আমরা যখন এই লাইনগুলো এক্সটেনশন করব, তখন কি হবে সেটা সেপারেট থিং, আমরা পরে আলাপ করব। কোথা থেকে আমরা ফান্ডিংটা নেবো, নিজস্ব অর্থায়ণে করব নাকি আলাদা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার থেকে নেবো, সেটা এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নেই নি।’

ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা হয়ে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথে দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। ট্রেনে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু বাংলাদেশ হয়ে গেলে দূরত্ব কমবে পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটারে। সময় লাগবে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা।

ট্যাগস :

ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস

জুলাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাবে ভারতের ট্রেন

আপডেট সময় ১২:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

জুলাইতে ভারতের কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একটি মালবাহী ট্রেন যাবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী পাইলট প্রকল্পের অংশ এটি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেছেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। কিন্তু এই রুট থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে, তা অনিশ্চিত বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ তাদের।

রেল ট্রানজিট নিয়ে গত ২২ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই হয়। সে অনুযায়ী, ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পণ্যবাহী ট্রেন যাবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে।

এর অংশ হিসেবে প্রথম পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কলকাতা থেকে বাংলাদেশের দর্শনা-চিলাহাটি হয়ে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাবে মালবাহী ট্রেন। পরবর্তীতে এই রুট ভারতের হলদিবাড়ী হয়ে ভুটান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের।

ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় জেনেছেন দুই দেশের সরকার ঘোষণা দিয়েছে। প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভালো হবে তার জন্য দুই দেশের সরকার ও জনগণ অপেক্ষা করছে।’

দুদেশের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চালু হলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের রেললাইনে চালানোর সক্ষমতা রয়েছে কি না, তা যাচাই করা উচিত।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘আমাদের রেলপথ তারা (ভারত) ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করলেও সেটা যেন আবার একটা সরাসরি থ্রু করিডর না হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত থেকে সরাসরি নেপাল বা ভুটানে নিয়ে যাবে, কিন্তু এই করিডর ব্যবহার করে আমরা রপ্তানি সুবিধা পাব না সেক্ষেত্রে কিন্তু দর কষাকষির ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে থাকব।’

রেল সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ভারত কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিনা সেই আলাপ কিন্তু আমাদের এখনও হয়নি। আমরা যখন এই লাইনগুলো এক্সটেনশন করব, তখন কি হবে সেটা সেপারেট থিং, আমরা পরে আলাপ করব। কোথা থেকে আমরা ফান্ডিংটা নেবো, নিজস্ব অর্থায়ণে করব নাকি আলাদা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার থেকে নেবো, সেটা এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নেই নি।’

ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা হয়ে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথে দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার। ট্রেনে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু বাংলাদেশ হয়ে গেলে দূরত্ব কমবে পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ কিলোমিটারে। সময় লাগবে ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা।