ঢাকা ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারা দেশে অতিবৃষ্টির আভাস, চলতে পারে ৫ দিন

সারা দেশে একযোগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বর্ষার নিয়মিত জলাবদ্ধতা শুরু হয়ে গেছে। বৃষ্টি বাড়লেও ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি যায়নি; বরং ঘাম ও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।

রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, ১০ নম্বর গোলচত্বর, কালশী, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, কারওয়ান বাজার, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ এলাকার প্রধান সড়ক এবং গলি থেকে পানি নামতে পারেনি। ফলে গলিগুলোতে ট্রাফিক জ্যাম লাগতে দেখা গেছে। ছাতা নিয়ে বের হওয়ার পরও রাস্তায় জমে থাকা পানির কারণে ভিজে বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি চলতে পারে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও বজ্রপাতের আশঙ্কাও আছে। আর সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। রোদের দেখা কম পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিন ওই বৃষ্টি চলতে পারে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এতে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা আছে। এসব জেলায় ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত ১০০ মিলিমিটার অতিক্রম করে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে পাহাড়ের নিচে এবং কাছাকাছি অবস্থানকারী অধিবাসীদের সাবধানে ও নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ ও আগামীকাল ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা বলেছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের উপকূল থেকে শুরু করে মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এর ফলে সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে; যা আগামী চার-পাঁচ দিন ধরে চলতে পারে। তবে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি আর শক্তি অর্জন করার সম্ভাবনা নেই। তবে এর প্রভাবে আকাশে মেঘ বেড়ে গেছে।

এদিকে মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী এলাকায় বইতে শুরু করেছে ঝোড়ো হাওয়া। পুরো চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে ভারী বৃষ্টি চলছে। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় ঘণ্টায় ৬৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থানকারী নৌযানগুলোকে সাবধানে এবং উপকূলের কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বছরের এই সময়টাতে আকাশে মেঘ কিছুটা নিচের দিকে নেমে আসে। ফলে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। যে কারণে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস থাকা সত্ত্বেও গরম কমে না; বরং তাপমাত্রা বেড়ে গরমের অস্বস্তি তৈরি হয়। আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া চললেও তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ আজ টিভিতে যা দেখবেন

সারা দেশে অতিবৃষ্টির আভাস, চলতে পারে ৫ দিন

আপডেট সময় ১১:৫০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

সারা দেশে একযোগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বর্ষার নিয়মিত জলাবদ্ধতা শুরু হয়ে গেছে। বৃষ্টি বাড়লেও ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি যায়নি; বরং ঘাম ও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।

রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, ১০ নম্বর গোলচত্বর, কালশী, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, কারওয়ান বাজার, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ এলাকার প্রধান সড়ক এবং গলি থেকে পানি নামতে পারেনি। ফলে গলিগুলোতে ট্রাফিক জ্যাম লাগতে দেখা গেছে। ছাতা নিয়ে বের হওয়ার পরও রাস্তায় জমে থাকা পানির কারণে ভিজে বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি চলতে পারে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও বজ্রপাতের আশঙ্কাও আছে। আর সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। রোদের দেখা কম পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিন ওই বৃষ্টি চলতে পারে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এতে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা আছে। এসব জেলায় ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত ১০০ মিলিমিটার অতিক্রম করে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে পাহাড়ের নিচে এবং কাছাকাছি অবস্থানকারী অধিবাসীদের সাবধানে ও নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ ও আগামীকাল ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা বলেছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের উপকূল থেকে শুরু করে মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এর ফলে সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে; যা আগামী চার-পাঁচ দিন ধরে চলতে পারে। তবে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি আর শক্তি অর্জন করার সম্ভাবনা নেই। তবে এর প্রভাবে আকাশে মেঘ বেড়ে গেছে।

এদিকে মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী এলাকায় বইতে শুরু করেছে ঝোড়ো হাওয়া। পুরো চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে ভারী বৃষ্টি চলছে। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় ঘণ্টায় ৬৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থানকারী নৌযানগুলোকে সাবধানে এবং উপকূলের কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বছরের এই সময়টাতে আকাশে মেঘ কিছুটা নিচের দিকে নেমে আসে। ফলে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। যে কারণে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস থাকা সত্ত্বেও গরম কমে না; বরং তাপমাত্রা বেড়ে গরমের অস্বস্তি তৈরি হয়। আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া চললেও তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।