ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

১১ মাসে ৩ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • 169

১১ মাসে ৩ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে সংস্থাটি। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা কম। আলোচ্য সময়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ অর্জন করেছে এনবিআর। এই অর্জন গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছর শেষ হতে বাকি মাত্র চলতি মাস। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে জুন মাসে এনবিআরকে আদায় করতে হবে প্রায় ৮৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব। যা অবাস্তব বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এনবিআর সূত্র জানায়, সর্বশেষ মে মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এতে শেষ পর্যন্ত এনবিআর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে বলে মনে হয় না। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ে যে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে- তা আদায়ে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে।

১১ মাসের রাজস্ব আহরণের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে আয়কর খাত। তবে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আহরণ পিছিয়ে আছে।

তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা, লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯২ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। আগের বছরের চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর আদায়ের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

এ সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম মূসক আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে।

আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা কম। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩৫৫ কোটি টাকা। তবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

১১ মাসে ৩ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

আপডেট সময় ১০:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে সংস্থাটি। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যা এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা কম। আলোচ্য সময়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ অর্জন করেছে এনবিআর। এই অর্জন গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছর শেষ হতে বাকি মাত্র চলতি মাস। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে জুন মাসে এনবিআরকে আদায় করতে হবে প্রায় ৮৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব। যা অবাস্তব বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এনবিআর সূত্র জানায়, সর্বশেষ মে মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এতে শেষ পর্যন্ত এনবিআর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে বলে মনে হয় না। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ে যে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে- তা আদায়ে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে।

১১ মাসের রাজস্ব আহরণের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে আয়কর খাত। তবে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ও স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আহরণ পিছিয়ে আছে।

তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা, লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯২ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। আগের বছরের চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এক্ষেত্রে অগ্রিম আয়কর আদায়ের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

এ সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম মূসক আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে।

আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা কম। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৩৫৫ কোটি টাকা। তবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে।