পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে চলতি বছরের ১৯ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহন থেকে মোট এক হাজার ৬৩১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। অন্যদিকে চলতি বছর বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে (ধলেশ্বরী ও ভাংগা অংশ) থেকে টোল আদায় হয়েছে ১৫৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিনে চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, চলতি বছরে পদ্মা সেতু থেকে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে।
একই দলের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত এক বছরে অর্থাৎ জুলাই ২০২৩ থেকে ১৯ জুন ২০২৪ পর্যন্ত পদ্মা সেতু থেকে ৮১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ৬৪৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু থেকে ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন টোল আদায় করা মহাসড়কের সংখ্যা ৪টি। যেগুলোতে চলতি অর্থবছরে ১৮৪ কোটি ৩৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে (ধলেশ্বরী ও ভাংগা অংশ) ১৫৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের রুস্তমপুর টোল প্লাজায় ১৫ কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার, নাটোরের হার্টিকামরুল-বনপাড়া সড়কে ১১ কোটি ৪৫ হাজার এবং চট্টগ্রামের পোর্ট একসেস রোডে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় ৪ হাজার ১৬৬টি সেতু রয়েছে। সেতুগুলো রক্ষণাবেক্ষণে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৯১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে ৩৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের জানান, ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বল সময়ে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছে।