ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আর নেই

দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আর নেই

রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫৫) মারা গেছেন। বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাবুল বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের মৃত আমুর হোসেন আমুর ছেলে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাথায় আঘাত পান বাবুল। পরে তার ইনফেকশন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (২২ জুন) সকালে বাঘা পৌর এলাকায় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের গ্রুপের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। বাঘা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আক্কাছ আলীর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের ডাক দেন তারা। উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০৬ ভোটে পরাজিত রোকনুজ্জামান রিন্টু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু। উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

অন্যদিকে, সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে বাঘা সাব রেজিস্টার অফিসের দলিক লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েভ উদ্দিন লাভলু সমর্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরেক গ্রুপ। মেয়র আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে পৌরসভার সামনে থেকে এ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি অপর গ্রুপের মানববন্ধন অতিক্রমের সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। তার মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুলও ছিলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মারা গেলেন তিনি।

গত রোববার (২৩ জুন) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় মেয়র আক্কাছ আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেসসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বাধা, হল গেটে তালা

দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আর নেই

আপডেট সময় ১০:১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫৫) মারা গেছেন। বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাবুল বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের মৃত আমুর হোসেন আমুর ছেলে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাথায় আঘাত পান বাবুল। পরে তার ইনফেকশন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (২২ জুন) সকালে বাঘা পৌর এলাকায় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের গ্রুপের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। বাঘা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আক্কাছ আলীর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের ডাক দেন তারা। উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০৬ ভোটে পরাজিত রোকনুজ্জামান রিন্টু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু। উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

অন্যদিকে, সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে বাঘা সাব রেজিস্টার অফিসের দলিক লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েভ উদ্দিন লাভলু সমর্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরেক গ্রুপ। মেয়র আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে পৌরসভার সামনে থেকে এ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি অপর গ্রুপের মানববন্ধন অতিক্রমের সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন। তার মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুলও ছিলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মারা গেলেন তিনি।

গত রোববার (২৩ জুন) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় মেয়র আক্কাছ আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেসসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।