ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল নেই এমন মাদরাসাছাত্রদের অপহরণ করতেন তারা

প্রতারণার অভিনব ফাঁদ পেতে মাদরাসা ছাত্রদের বাবা-মায়েদের কাছ থেকে আদায় করা হতো টাকা। এমন একটি অপহরণচক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নীলফামারীর জলঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৩)। মাদরাসাছাত্রদের অপহরণের পর দুর্ঘটনার কথা বলে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন আরিফ।

রোববার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মীরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরিফ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। পরে নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর এক সংবাদ সম্মেলনে আরিফ সম্পর্কে এসব তথ্য জানান।

গোলাম সবুর বলেন, ১৪ মার্চ শহর থেকে সিরাজ-উদ-দৌলা শুভ (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্র অপহৃত হয়। সে শহরের উকিলপাড়ার মাহমুদ আলমের ছেলে। তার মা-বাবার কাছ থেকে অপহরণকারী ১২ হাজার ৮০০ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।

বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। সৈয়দপুর রেলস্টেশন থেকে শুভকে উদ্ধারের পর পুলিশ রংপুর রেলস্টেশন এলাকাতেও এমন ঘটনার খবর পায়। পরে অনুসন্ধান চালিয়ে অপহরণকারীর ছবি পুলিশের হাতে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, আরিফ মূলত বগুড়া, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মাদরাসাছাত্রদের টার্গেট করত, যাদের নিজেদের কোনো মোবাইল ফোন নেই। তাদের অপহরণ করে মা-বাবার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে দুর্ঘটনার কথা বলে চিকিৎসার জন্য বিভিন্নভাবে বিকাশ ও নগদে মুক্তিপণ আদায় করত।

তিনি আরও বলেন, আমি মা-বাবাদের অনুরোধ করব, এ রকম কোনো ফোনকল আপনাদের কাছে এলে, আপনারা সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন ও তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) কল্লোল কুমার দত্ত, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম প্রমুখ।

মোবাইল নেই এমন মাদরাসাছাত্রদের অপহরণ করতেন তারা

আপডেট সময় ০১:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

প্রতারণার অভিনব ফাঁদ পেতে মাদরাসা ছাত্রদের বাবা-মায়েদের কাছ থেকে আদায় করা হতো টাকা। এমন একটি অপহরণচক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নীলফামারীর জলঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৩)। মাদরাসাছাত্রদের অপহরণের পর দুর্ঘটনার কথা বলে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন আরিফ।

রোববার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মীরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরিফ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। পরে নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর এক সংবাদ সম্মেলনে আরিফ সম্পর্কে এসব তথ্য জানান।

গোলাম সবুর বলেন, ১৪ মার্চ শহর থেকে সিরাজ-উদ-দৌলা শুভ (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্র অপহৃত হয়। সে শহরের উকিলপাড়ার মাহমুদ আলমের ছেলে। তার মা-বাবার কাছ থেকে অপহরণকারী ১২ হাজার ৮০০ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।

বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। সৈয়দপুর রেলস্টেশন থেকে শুভকে উদ্ধারের পর পুলিশ রংপুর রেলস্টেশন এলাকাতেও এমন ঘটনার খবর পায়। পরে অনুসন্ধান চালিয়ে অপহরণকারীর ছবি পুলিশের হাতে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, আরিফ মূলত বগুড়া, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মাদরাসাছাত্রদের টার্গেট করত, যাদের নিজেদের কোনো মোবাইল ফোন নেই। তাদের অপহরণ করে মা-বাবার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে দুর্ঘটনার কথা বলে চিকিৎসার জন্য বিভিন্নভাবে বিকাশ ও নগদে মুক্তিপণ আদায় করত।

তিনি আরও বলেন, আমি মা-বাবাদের অনুরোধ করব, এ রকম কোনো ফোনকল আপনাদের কাছে এলে, আপনারা সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন ও তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) কল্লোল কুমার দত্ত, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম প্রমুখ।