ঢাকা ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কখন উঠবেন ঘুম থেকে

ঘুম

প্রথমে জানতে হবে রাতে ঘুমাবো কখন, এরপরেই আসবে সকালে ঘুম থেকে উঠার কথা। রাতে যত দ্রুত ঘুমাবেন সকালে ঠিক ততো আগেই ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। অনেকের মতে, আগের রাতে আপনি যে সময় ঘুমাবেন, তার ওপর নির্ভর করে পরের দিন সকালে উঠার সময়। আপনি যদি রাত ১১টায় ঘুমাতে যান, তবে আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে সকাল ৭টায় উঠবেন। আর যদি ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে না পারেন তাহলে ৭ ঘণ্টা ঘুমিয়ে সকাল ৬টায় উঠবেন। তবে কোনোভাবেই ৬ ঘণ্টার কম ঘুমানো যাবে না।

কিন্তু সত্যিই কি এ হিসাব এতটা সহজ? না কি ঘুম থেকে ওঠার সময় আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে? চিকিৎসকদের মতে, সকালে ওঠার সময় আগে থেকে ঠিক করে রাখা জরুরি। কোন সময়ে দিন শুরু করলে আপনার সুবিধা হবে, তা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। সেই অনুযায়ী আপনি ঘুম থেকে উঠবেন। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন, সকালে উঠতে গিয়ে কম ঘুমানো যাবে না। কেননা কম ঘুম কখনো শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই সকালে ওঠার সময়ের ওপর নির্ভর করবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও। আপনার রাতে অন্তত ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম হয়; সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া রাত ১২টায় ঘুমাতে গেলে সকাল ৭টার আগে না ওঠাই ভালো বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

গবেষকরা বলছেন, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষ দেরিতে ঘুম ও দেরিতে ওঠা পছন্দ করেন। তবে যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠতে চান তাদের জন্য কিছু পরামর্শ—

আপনি নিজের প্রতিদিনের রুটিনে শুরুতেই বড়সড় পরিবর্তন না করে সময় নিন নতুন অভ্যাস গড়তে। প্রথমদিকে নিয়মিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে ওঠার চেষ্টা করুন। এর কিছু দিন পর আবার ২০ মিনিট এগিয়ে নিন। এভাবে আসতে আসতে আপনি আপনার সময় নিজে নির্ধারণ করুন।

একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। তাই আপনি সকালে কখন ওঠবেন সে অনুযায়ী রাতে সময় দেখে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

রাতে ঘুমানোর মিনিমাম ৩০ মিনিট আগে থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকুন। এ ছাড়া রাত জেগে টেলিভিশন দেখার অভ্যাস পরিহার করুন।

আরও পড়ুন: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যা ভুলেও করবেন না

চেষ্টা করুন ৮টার আগেই রাতের খাবার খাওয়ার। রাতের খাওয়া ও ঘুমের মাঝে ২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখার চেষ্টা করুন।

সঠিকভাবে ঘুমানোর জন্য ঘরের পরিবেশ ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। ঘর অন্ধকার ও ঠান্ডা থাকলে ঘুম ভালো হয়।

সকালে ওঠার জন্য অ্যালার্ম দিয়ে ঘড়ি কিংবা মোবাইল বিছানা থেকে খানিকটা দূরে রাখুন। এতে করে অ্যালার্ম বন্ধ করার জন্য হলেও আপনাকে বিছানা ছাড়তে হবে।

অ্যালার্ম বাজার পর পর মস্তিষ্ককে ভাবার সময় না দিয়ে দ্রুত উঠে পরুন। উঠেই ব্রাশ করা বা অন্য কোনো কাজ শুরু করুন। এতে ঘুমের ভাব কেটে যাবে।

নিজের মানসিক প্রশান্তির জন্য সকালে ওঠে গাছে পানি দেয়া, নিজের জন্য চা/কফি তৈরি করা, নাশতা তৈরির মতো কাজ করতে পারেন।

সূত্র: ফোর্বস

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসমুদ্রে পরিনত হয় দ্রোহের গান ও আজাদী সন্ধ্যায়

কখন উঠবেন ঘুম থেকে

আপডেট সময় ০১:২৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

প্রথমে জানতে হবে রাতে ঘুমাবো কখন, এরপরেই আসবে সকালে ঘুম থেকে উঠার কথা। রাতে যত দ্রুত ঘুমাবেন সকালে ঠিক ততো আগেই ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। অনেকের মতে, আগের রাতে আপনি যে সময় ঘুমাবেন, তার ওপর নির্ভর করে পরের দিন সকালে উঠার সময়। আপনি যদি রাত ১১টায় ঘুমাতে যান, তবে আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে সকাল ৭টায় উঠবেন। আর যদি ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে না পারেন তাহলে ৭ ঘণ্টা ঘুমিয়ে সকাল ৬টায় উঠবেন। তবে কোনোভাবেই ৬ ঘণ্টার কম ঘুমানো যাবে না।

কিন্তু সত্যিই কি এ হিসাব এতটা সহজ? না কি ঘুম থেকে ওঠার সময় আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে? চিকিৎসকদের মতে, সকালে ওঠার সময় আগে থেকে ঠিক করে রাখা জরুরি। কোন সময়ে দিন শুরু করলে আপনার সুবিধা হবে, তা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। সেই অনুযায়ী আপনি ঘুম থেকে উঠবেন। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন, সকালে উঠতে গিয়ে কম ঘুমানো যাবে না। কেননা কম ঘুম কখনো শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই সকালে ওঠার সময়ের ওপর নির্ভর করবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও। আপনার রাতে অন্তত ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম হয়; সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া রাত ১২টায় ঘুমাতে গেলে সকাল ৭টার আগে না ওঠাই ভালো বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

গবেষকরা বলছেন, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষ দেরিতে ঘুম ও দেরিতে ওঠা পছন্দ করেন। তবে যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠতে চান তাদের জন্য কিছু পরামর্শ—

আপনি নিজের প্রতিদিনের রুটিনে শুরুতেই বড়সড় পরিবর্তন না করে সময় নিন নতুন অভ্যাস গড়তে। প্রথমদিকে নিয়মিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে ওঠার চেষ্টা করুন। এর কিছু দিন পর আবার ২০ মিনিট এগিয়ে নিন। এভাবে আসতে আসতে আপনি আপনার সময় নিজে নির্ধারণ করুন।

একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। তাই আপনি সকালে কখন ওঠবেন সে অনুযায়ী রাতে সময় দেখে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

রাতে ঘুমানোর মিনিমাম ৩০ মিনিট আগে থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকুন। এ ছাড়া রাত জেগে টেলিভিশন দেখার অভ্যাস পরিহার করুন।

আরও পড়ুন: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যা ভুলেও করবেন না

চেষ্টা করুন ৮টার আগেই রাতের খাবার খাওয়ার। রাতের খাওয়া ও ঘুমের মাঝে ২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখার চেষ্টা করুন।

সঠিকভাবে ঘুমানোর জন্য ঘরের পরিবেশ ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। ঘর অন্ধকার ও ঠান্ডা থাকলে ঘুম ভালো হয়।

সকালে ওঠার জন্য অ্যালার্ম দিয়ে ঘড়ি কিংবা মোবাইল বিছানা থেকে খানিকটা দূরে রাখুন। এতে করে অ্যালার্ম বন্ধ করার জন্য হলেও আপনাকে বিছানা ছাড়তে হবে।

অ্যালার্ম বাজার পর পর মস্তিষ্ককে ভাবার সময় না দিয়ে দ্রুত উঠে পরুন। উঠেই ব্রাশ করা বা অন্য কোনো কাজ শুরু করুন। এতে ঘুমের ভাব কেটে যাবে।

নিজের মানসিক প্রশান্তির জন্য সকালে ওঠে গাছে পানি দেয়া, নিজের জন্য চা/কফি তৈরি করা, নাশতা তৈরির মতো কাজ করতে পারেন।

সূত্র: ফোর্বস