ছাগল কাণ্ডে ব্যাপক আলোচনায় আসেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান। এরপর তাকে এনবিআর থেকে ওএসডি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও অপসারণ করা হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিএফআইইউ’র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ক্ষমতাবলে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ এমন নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানা যায়। তথ্য মতে, ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা সংক্রান্ত একটি চিঠি ব্যাংকগুলোকে এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
যাদের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- মো. মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান (ইপসিতা) ও ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান। এছাড়া দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধুরী, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাত ও ইরফানুর রহমান ইরফান। আলোচিত এই ব্যক্তিদের মোট আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশনা দিয়েছে বিএফআইইউ। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এসব ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঈদুল আজহার আগে ঢাকার সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে, শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা ও খবর প্রকাশিত হতে থাকে।
মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির বিষয়ে গণমাধ্যমের খবরে আলোচনা শুরু হয়।