ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইইউর ৮১টি গণমাধ্যমে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

ইইউর ৮১টি গণমাধ্যমে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়া মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৮১টি গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার ব্লক করার ঘোষণা দিয়েছে। ব্রাসেলস রাশিয়ার বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার পর ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিল মস্কো।

এর আগে মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছিল, তারা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণকে ‘এগিয়ে নিতে সহায়তা ও সমর্থনের’ জন্য ক্রেমলিন নিয়ন্ত্রিত চারটি গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার ব্লকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মস্কো ইইউর এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিল।

মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ব্লক হওয়া গণমাধ্যমগুলোর তালিকা প্রকাশ এবং বিধি-নিষেধের জন্য ব্রাসেলসকে দায়ী করেছে। তারা এ পদক্ষেপকে ইইউর বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এ ছাড়া রাশিয়া ইইউর নিষেধাজ্ঞাকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে নিন্দা করে বলেছে, ইইউর সিদ্ধান্তগুলো মস্কোকে একই ধরনের পাল্টাব্যবস্থা নিতে বাধ্য করছে। তবে রুশ গণমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে রুশ নিষেধাজ্ঞাগুলোও ‘সংশোধন’ করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে রাশিয়া ইতিমধ্যে পশ্চিমা গণামধ্যমগুলোর অধিকাংশে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসন বা তার ইউক্রেন আক্রমণের সমালোচনাকারী দেশীয় গণমাধ্যমগুলোকেও নিষিদ্ধ, হয়রানি ও বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা নির্বাসনে পালিয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইইউর ৮১টি গণমাধ্যমে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

রাশিয়া মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৮১টি গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার ব্লক করার ঘোষণা দিয়েছে। ব্রাসেলস রাশিয়ার বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার পর ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিল মস্কো।

এর আগে মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছিল, তারা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণকে ‘এগিয়ে নিতে সহায়তা ও সমর্থনের’ জন্য ক্রেমলিন নিয়ন্ত্রিত চারটি গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার ব্লকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মস্কো ইইউর এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিল।

মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ব্লক হওয়া গণমাধ্যমগুলোর তালিকা প্রকাশ এবং বিধি-নিষেধের জন্য ব্রাসেলসকে দায়ী করেছে। তারা এ পদক্ষেপকে ইইউর বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এ ছাড়া রাশিয়া ইইউর নিষেধাজ্ঞাকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে নিন্দা করে বলেছে, ইইউর সিদ্ধান্তগুলো মস্কোকে একই ধরনের পাল্টাব্যবস্থা নিতে বাধ্য করছে। তবে রুশ গণমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে রুশ নিষেধাজ্ঞাগুলোও ‘সংশোধন’ করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে রাশিয়া ইতিমধ্যে পশ্চিমা গণামধ্যমগুলোর অধিকাংশে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসন বা তার ইউক্রেন আক্রমণের সমালোচনাকারী দেশীয় গণমাধ্যমগুলোকেও নিষিদ্ধ, হয়রানি ও বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা নির্বাসনে পালিয়েছে।