সুপার এইট থেকে সেমিফাইনাল যেতে জয় প্রয়োজন অন্তত দুটি। কিন্তু এক ম্যাচে প্রভাববিস্তারকারী বড় জয় দিয়েই সেমি খেলার সুযোগ ছিল বাংলাদশের সামনে। সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জ তো বাংলাদেশ নিতেই পারেনি। উল্টো ম্যাচ হেরে হতাশা উপহার দিল টাইগাররা। ম্যাচ শেষে অপরিকল্পিত ব্যাটিং আর ভুল সিদ্ধান্তকে দুষলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টে সুপার এইটে তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করে আফগানরা। রান তাড়ায় সেমিতে যেতে হলে ১২.১ ওভারে এই ম্যাচ জিততে হত বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টি জমানায় এমন সমীকরণ মোটেও কঠিন নয়।
২০০৭ থেকে সবকয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা বাংলাদেশ এই সুযোগ হেলায় হারিয়েছে। উপরন্ত বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরনী মঞ্চে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছি, আমরা অনেক ভালো কিছু করেছি কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশেষ করে মাঝ ওভারে এবং সেটাই আজ আমাদের মূল্য দিতে হয়েছে। পরিকল্পনাটি ছিল প্রথম ৬ ওভারে কঠিন হবে, যদি আমরা প্রথম দিকে উইকেট হারিয়ে ফেলি। পরিকল্পনা ছিল স্বাভাবিকভাবে ব্যাট করা, কিন্তু তা হয়নি এবং মিডল অর্ডার কার্যকর করতে পারেনি।’
গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচ এবং সুপার এইটের তিন ম্যাচ মিলিয়ে আসরজুড়েই বোলিংয়ে ভালো করেছে বাংলাদেশ। বল হাতে ১৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টে উইকেট শিকারে তৃতীয় অবস্থানে রিশাদ হোসেন। নতুন বলে তানজিম হাসান সাকিব এবং ডেথ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্স ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু এক ব্যাটিং ব্যর্থতায় সব সম্ভাবনা ফসকে গেল বাংলাদেশ।
শান্ত আরও বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছি, পেসার এবং স্পিনার, বিশেষ করে রিশাদ দুর্দান্ত ছিল, ফাস্ট বোলাররাও সত্যিই ভালো করেছে। এছাড়াও, ফিল্ডিং গ্রুপ হিসাবে আমরা ভাল করেছি। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হত, আমাদের টপ অর্ডার ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। আমি যেমন বলেছি, আমরা ব্যাট হাতে ভালোভাবে খেলতে পারিনি এবং অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’