আষাঢ়ে মেঘ, বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। এখন বর্ষাকাল, প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের যেসব অঞ্চলে মিষ্টি পানির সংকট, তাদের অনেকেই বৃষ্টির পানি বিভিন্ন উপায় সংরক্ষণ করে রাখছেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে ব্যবহারের জন্য। প্রাচীনকাল থেকেই রান্না, খাওয়া এবং অন্যান্য কাজে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে বৃষ্টির পানি পান করা কি নিরাপদ? গবেষকরা বলছেন বৃষ্টির পানি নিরাপদ, কিন্তু যখন এই পানি বায়ুমন্ডলে এসে বাতাসের সঙ্গে মেশে তখন এর সঙ্গে নানা ধরনের ক্ষতিকর উপাদান যুক্ত হয়ে দূষিত হয়।
গবেষকরা এও বলছেন, বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। পরজীবী থেকে যাওয়ার একটা বড় সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে সব ক্ষেত্রে নয়, কিছু ক্ষেত্রে বৃষ্টির জলে বজ্য পদার্থ থাকলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। বৃষ্টির পানিতে প্রধানত মিশে থাকে নানারকম অ্যাসিড। তবে তা খুবই লঘু পরিমাণে উপস্থিত থাকে। তাই বৃষ্টির পানিতে কাপড় পরিষ্কার করলে অনেক সময় ক্ষার বেশি থাকার কারণে পরিস্কার হয়ে যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে বৃষ্টির পানি পানের উপযোগ্য নয়।
সাধারণত পানীয় জলে যে যে উপকারি পদার্থগুলো থাকে, যে ধাতুগুলি সাধারণত আমাদের শরীরের উপকার করে, তা অনেকাংশেই অনুপস্থিত বৃষ্টির পানিতে। তবে পানের অযোগ্য হলেও, বৃষ্টির পানি উচ্চ তাপমাত্রায় ফোটালে অনেকাংশেই জীবাণুর মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী দাবি, বাড়ির অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয় বৃষ্টির পানিকে। পানিকে পানের উপযুক্ত করতে যে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, সেই প্রযুক্তি বৃষ্টির পানির ওপর না খাটানোই ভাল। কারণ অনেকসময়ই প্রযুক্তি খাটাতে গিয়ে বৃষ্টির পানির স্বাভাবিক গুণ নষ্ট হয়। তবে সেটা বৃষ্টির পানির ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়।