ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

যে কাজে ভালো কাটবে আপনার দিন

ভালো সময় কাটাবেন যেভাবে

দিনের শুরুটা দেখেই নাকি বলে দেয়া যায়, সারাদিন কেমন যাবে! ঘুম ভাঙার পরে আপনি যদি একটি হাসিখুশি মন নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন, তবে দিনের বাকি সময়টুকুও আনন্দেই কাটবে। দিনের শুরুতে কিছু কাজ আপনাকে সারাদিন চলার শক্তি জোগাবে।

সকালের সময়টুকু আপনি কীভাবে কাটাবেন, তার ওপরেই নির্ভর করে বাকি দিনটা আপনার কীভাবে কাটবে। জেনে দিনের শুরুটা দারুণভাবে করার সহজ সাতটি কাজ-

ঘুম থেকে উঠে প্রথমে যে কাজটি করবেন তা হলো নিজের বিছানা পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখা। দিনের শুরুটা সুন্দর করার এটিই প্রথম ধাপ। খুব সাধারণ এই ঘরের কাজ আপনার মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালবেলা গুছিয়ে রাখা বিছানা আপনাকে মানসিক পরিতৃপ্তি দেয়। তাই দিনের শুরুতে এটাই হোক আপনার প্রথম কাজ।

এরপর বিছানা ছেড়ে হাত-মুখ ধুয়ে অবশ্যই একগ্লাস পানি খাবেন। সকালে শরীরকে আর্দ্র করা অত্যন্ত জরুরি। ঘুম থেকে উঠে পানি খেলে শরীর শক্তি পাবে, ঘুমিয়ে থাকা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ শুরু করবে। দিনের শুরুতে একগ্লাস পানি আপনার শরীরে সারারাত ধরে জমা টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে।

এরপরের কাজটি হলো ব্যায়াম। জিম কিংবা সাঁতার, হাঁটা কিংবা জগিং- সকালে উঠে কিছু সময়ের জন্য হলেও ব্যায়াম করতেই হবে। এর ফলে শুধু আপনার শরীর নয়, শক্তি পাবে আপনার মনও। কাজ করার নতুন উদ্যম পাবেন।

এরপর একটি তালিকা তৈরি করুন। তালিকাটি হবে সারাদিন আপনি কোন কাজগুলো করবেন, তার। জরুরি কাজ যেমন, ডাক্তারের কাছে যাওয়া, ব্যাংকে যাওয়া ইত্যাদি থাকলে পাশাপাশি সময়ও উল্লেখ করে দিন। গুরুত্ব অনুযায়ী কাজগুলো সাজিয়ে ফেলুন। সারাদিনের কাজ সহজ হয়ে যাবে।

অনেকেই আছেন যারা সকালে উঠেই ফোন ঘাঁটতে শুরু করেন। এটি ভীষণ অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তাই সকালে উঠেই ফোন ঘাঁটা বন্ধ করুন। জরুরি না হলে সেলফোন থেকে দূরে থাকুন। বরং নিজের জন্য রাখুন সময়টুকু। এরপর তৈরি হয়ে নিন সারাদিনের জন্য। গোসল, কাপড় পরা, তৈরি হওয়া সব ঝটপট সেরে ফেলুন। কোনটার পরে কোনটা করবেন তাও ঠিক করে নিন।

সকালের রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সকালের নাস্তা। সকালের খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর ও পেটভর্তি। সামনে যা পান তাই খেয়ে বের হয়ে যাবেন না। দরকার হলে আগের দিন ঠিক করে রাখুন, পরের দিন সকালের নাস্তায় কী খাবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

যে কাজে ভালো কাটবে আপনার দিন

আপডেট সময় ০৫:৪১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

দিনের শুরুটা দেখেই নাকি বলে দেয়া যায়, সারাদিন কেমন যাবে! ঘুম ভাঙার পরে আপনি যদি একটি হাসিখুশি মন নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন, তবে দিনের বাকি সময়টুকুও আনন্দেই কাটবে। দিনের শুরুতে কিছু কাজ আপনাকে সারাদিন চলার শক্তি জোগাবে।

সকালের সময়টুকু আপনি কীভাবে কাটাবেন, তার ওপরেই নির্ভর করে বাকি দিনটা আপনার কীভাবে কাটবে। জেনে দিনের শুরুটা দারুণভাবে করার সহজ সাতটি কাজ-

ঘুম থেকে উঠে প্রথমে যে কাজটি করবেন তা হলো নিজের বিছানা পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখা। দিনের শুরুটা সুন্দর করার এটিই প্রথম ধাপ। খুব সাধারণ এই ঘরের কাজ আপনার মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালবেলা গুছিয়ে রাখা বিছানা আপনাকে মানসিক পরিতৃপ্তি দেয়। তাই দিনের শুরুতে এটাই হোক আপনার প্রথম কাজ।

এরপর বিছানা ছেড়ে হাত-মুখ ধুয়ে অবশ্যই একগ্লাস পানি খাবেন। সকালে শরীরকে আর্দ্র করা অত্যন্ত জরুরি। ঘুম থেকে উঠে পানি খেলে শরীর শক্তি পাবে, ঘুমিয়ে থাকা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ শুরু করবে। দিনের শুরুতে একগ্লাস পানি আপনার শরীরে সারারাত ধরে জমা টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে।

এরপরের কাজটি হলো ব্যায়াম। জিম কিংবা সাঁতার, হাঁটা কিংবা জগিং- সকালে উঠে কিছু সময়ের জন্য হলেও ব্যায়াম করতেই হবে। এর ফলে শুধু আপনার শরীর নয়, শক্তি পাবে আপনার মনও। কাজ করার নতুন উদ্যম পাবেন।

এরপর একটি তালিকা তৈরি করুন। তালিকাটি হবে সারাদিন আপনি কোন কাজগুলো করবেন, তার। জরুরি কাজ যেমন, ডাক্তারের কাছে যাওয়া, ব্যাংকে যাওয়া ইত্যাদি থাকলে পাশাপাশি সময়ও উল্লেখ করে দিন। গুরুত্ব অনুযায়ী কাজগুলো সাজিয়ে ফেলুন। সারাদিনের কাজ সহজ হয়ে যাবে।

অনেকেই আছেন যারা সকালে উঠেই ফোন ঘাঁটতে শুরু করেন। এটি ভীষণ অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তাই সকালে উঠেই ফোন ঘাঁটা বন্ধ করুন। জরুরি না হলে সেলফোন থেকে দূরে থাকুন। বরং নিজের জন্য রাখুন সময়টুকু। এরপর তৈরি হয়ে নিন সারাদিনের জন্য। গোসল, কাপড় পরা, তৈরি হওয়া সব ঝটপট সেরে ফেলুন। কোনটার পরে কোনটা করবেন তাও ঠিক করে নিন।

সকালের রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সকালের নাস্তা। সকালের খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর ও পেটভর্তি। সামনে যা পান তাই খেয়ে বের হয়ে যাবেন না। দরকার হলে আগের দিন ঠিক করে রাখুন, পরের দিন সকালের নাস্তায় কী খাবেন।