ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তারেক রহমান যেদিন দেশে আসবেন, জনতার ভূমিকম্প হবে: বরকতউল্লাহ বুলু Logo মানসিক ভারসাম্য হারিয়েও ভুলেনি কুরআনের আয়াত Logo কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির অভিযোগ বাক্সে ১০দিনে ৯ অভিযোগ Logo ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার Logo রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ৭ দফা প্রস্তাব ঘোষণা ড. ইউনূসের Logo কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের উদ্যোগে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান Logo মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে হোস্টেল ফি কমানোর দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি Logo টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি ভিসি , দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা Logo চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি Logo টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

প্রস্রাব হলুদ হলে করণীয়

হলুদ প্রসাব

প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক মানে আপনার শরীর অনেকটাই রোগমুক্ত। আবার প্রসাবের রং যদি স্বাভাবিকের তুলনায় ভিন্ন হয় তাহলে সেটি আবার অস্বাভাবিক। একথা বলার কারণ হলো, আমাদের শরীরের অনেক রোগের লক্ষণ বোঝা যায় প্রস্রাবের রং দেখে। যদি আপনার প্রস্রাবের রং হলুদ হয় তাহলে প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো প্রচুর পানি পান করা। এরপরও অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। অনেক সময় খুব কড়া ওষুধ খেলে তার ফলে আমাদের প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়ে যায়। তাই সব সময়ে প্রস্রাবের রঙ হলুদ হওয়া মনে কিছু সাংঘাতিক হয়েছে শরীরে এমনও কিন্তু না। তবে কিছু প্রস্রাবের রং হলুদ হলে তা কিছু রোগের লক্ষণ হতে পারে।

ডিহাইড্রেশন

খুবই কম পরিমাণ পানি পান করার ফলে আমাদের প্রস্রাবের রং হলুদ হতে পারে। ডিহাইড্রেশন হলে আমাদের উচিত প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা। অনেক কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে যেমন খুব বেশি বমি হলে, খুব চিন্তা বা ক্লান্তি অনুভব করলে, খুব ঘাম হলে ইত্যাদি। পানি পান করে তারপর শরীরে পানির পরিমান বাড়ানো অতন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে আমাদের প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়।

হেপাটাইটিস

হেপাটাইটিসের ফলেও আমাদের প্রস্রাবের রং হলুদ হতে পারে। সাধারণত লিভার ফুলে গেলে হেপাটাইটিস হয়ে থাকে। হেপাটাইটিস ভাইরাল ইনফেকশনের থেকেও হতে পারে। অনেক সময় খুব বেশি পরিমাণ মদ খেলে সেটি হেপাটাইটিস রোগে পরিণত হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা গিয়েছে এমন কোনো ওষুধ খেলে যার মধ্যে বিভিন্ন হলুদ প্রস্রাব করানোর কেমিক্যাল আছে, এর ফলেও হেপাটাইটিস হয়। তাই হেপাটাইটিস রোগ ধরা পড়লে খুব তাড়াতাড়ি উচিত ডাক্তার দেখানো এবং সঠিক চিকিৎসা করা।

জন্ডিস

জন্ডিসের রোগ প্রথমে বোঝা যায় হলুদ প্রস্রাব দেখে। তারপর মলের রঙও গাঢ় হলুদ হয়ে থাকে। তীব্র শরীর খারাপের সাথে আমাদের গায়ের রংও হলুদ হতে থাকে। জন্ডিস হয়ে থাকে খুব বেশি পরিমাণ বিলুরুবিন যখন সৃষ্টি হয়ে যায় এবং আমাদের লিভার সেই বিলুরুবিন প্রস্রাবের সাহায্যে বাইরে বের করে দেয়। প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের প্রথম লক্ষণ। তাই জন্ডিস সঙ্কেত দেখলেই আমাদের উচিত ডাক্তার দেখানো।

লিভার সিরোসিস

লিভারের সমস্যা দেখা দিলে তার প্রভাব পড়ে প্রস্রাবের রঙের উপর। আমাদের লিভার আমাদের শরীরের একটা জরুরি অংশ। তাই হলুদ প্রস্রাব যখন লিভারের সমস্যার যখন দেখা দেয় তখন আমাদের উচিত প্রথমেই ডাক্তার দেখানো এবং নির্দিষ্ট পরীক্ষা করা। দীর্ঘদিন ধরে যদি আমাদের লিভারে অসুবিধা দেখা দেয় তাহলে প্রস্রাবের সাথে সাথে আমাদের পায়ের দিকের চামড়ার রঙ হলুদ হতে দেখা দেয়।

কিডনি স্টোন

প্রস্রাবের হলুদ হওয়া কিডনি স্টোনেরও সংকেত দেয়। তাই যদি প্রস্রাবের সময় কষ্ট অনুভব করেন আর প্রস্রাবও হলুদ হয় তাহলে খুবই জরুরি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। এই সবক্ষেত্রে দেরি করা একদমই উচিত না।

খেয়াল করুন

প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ হলে আমাদের ভেবে দেখতে হবে যে আমরা বীট রুট জাতীয় কোনো খাবার খেয়েছেন কিনা। যদি খেয়ে থাকেন তাহলে শরীর নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণই নেই। যদি এমন কোনো ওষুধও খাই যার মধ্যে হলুদ প্রস্রাব হওয়ার কেমিক্যাল থাকে তাহলে উচিত আমাদের খুব পানি খাওয়া। বেশি পরিমাণ পানি খাওয়ার ফলে অনেক সময় ঠিক হয়ে যায় প্রস্রাবের রং।

অনেক পানি পান করার পরেও যদি হলুদ প্রস্রাব হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো জরুরি।

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমান যেদিন দেশে আসবেন, জনতার ভূমিকম্প হবে: বরকতউল্লাহ বুলু

প্রস্রাব হলুদ হলে করণীয়

আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক মানে আপনার শরীর অনেকটাই রোগমুক্ত। আবার প্রসাবের রং যদি স্বাভাবিকের তুলনায় ভিন্ন হয় তাহলে সেটি আবার অস্বাভাবিক। একথা বলার কারণ হলো, আমাদের শরীরের অনেক রোগের লক্ষণ বোঝা যায় প্রস্রাবের রং দেখে। যদি আপনার প্রস্রাবের রং হলুদ হয় তাহলে প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো প্রচুর পানি পান করা। এরপরও অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। অনেক সময় খুব কড়া ওষুধ খেলে তার ফলে আমাদের প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়ে যায়। তাই সব সময়ে প্রস্রাবের রঙ হলুদ হওয়া মনে কিছু সাংঘাতিক হয়েছে শরীরে এমনও কিন্তু না। তবে কিছু প্রস্রাবের রং হলুদ হলে তা কিছু রোগের লক্ষণ হতে পারে।

ডিহাইড্রেশন

খুবই কম পরিমাণ পানি পান করার ফলে আমাদের প্রস্রাবের রং হলুদ হতে পারে। ডিহাইড্রেশন হলে আমাদের উচিত প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা। অনেক কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে যেমন খুব বেশি বমি হলে, খুব চিন্তা বা ক্লান্তি অনুভব করলে, খুব ঘাম হলে ইত্যাদি। পানি পান করে তারপর শরীরে পানির পরিমান বাড়ানো অতন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে আমাদের প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়।

হেপাটাইটিস

হেপাটাইটিসের ফলেও আমাদের প্রস্রাবের রং হলুদ হতে পারে। সাধারণত লিভার ফুলে গেলে হেপাটাইটিস হয়ে থাকে। হেপাটাইটিস ভাইরাল ইনফেকশনের থেকেও হতে পারে। অনেক সময় খুব বেশি পরিমাণ মদ খেলে সেটি হেপাটাইটিস রোগে পরিণত হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা গিয়েছে এমন কোনো ওষুধ খেলে যার মধ্যে বিভিন্ন হলুদ প্রস্রাব করানোর কেমিক্যাল আছে, এর ফলেও হেপাটাইটিস হয়। তাই হেপাটাইটিস রোগ ধরা পড়লে খুব তাড়াতাড়ি উচিত ডাক্তার দেখানো এবং সঠিক চিকিৎসা করা।

জন্ডিস

জন্ডিসের রোগ প্রথমে বোঝা যায় হলুদ প্রস্রাব দেখে। তারপর মলের রঙও গাঢ় হলুদ হয়ে থাকে। তীব্র শরীর খারাপের সাথে আমাদের গায়ের রংও হলুদ হতে থাকে। জন্ডিস হয়ে থাকে খুব বেশি পরিমাণ বিলুরুবিন যখন সৃষ্টি হয়ে যায় এবং আমাদের লিভার সেই বিলুরুবিন প্রস্রাবের সাহায্যে বাইরে বের করে দেয়। প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের প্রথম লক্ষণ। তাই জন্ডিস সঙ্কেত দেখলেই আমাদের উচিত ডাক্তার দেখানো।

লিভার সিরোসিস

লিভারের সমস্যা দেখা দিলে তার প্রভাব পড়ে প্রস্রাবের রঙের উপর। আমাদের লিভার আমাদের শরীরের একটা জরুরি অংশ। তাই হলুদ প্রস্রাব যখন লিভারের সমস্যার যখন দেখা দেয় তখন আমাদের উচিত প্রথমেই ডাক্তার দেখানো এবং নির্দিষ্ট পরীক্ষা করা। দীর্ঘদিন ধরে যদি আমাদের লিভারে অসুবিধা দেখা দেয় তাহলে প্রস্রাবের সাথে সাথে আমাদের পায়ের দিকের চামড়ার রঙ হলুদ হতে দেখা দেয়।

কিডনি স্টোন

প্রস্রাবের হলুদ হওয়া কিডনি স্টোনেরও সংকেত দেয়। তাই যদি প্রস্রাবের সময় কষ্ট অনুভব করেন আর প্রস্রাবও হলুদ হয় তাহলে খুবই জরুরি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। এই সবক্ষেত্রে দেরি করা একদমই উচিত না।

খেয়াল করুন

প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ হলে আমাদের ভেবে দেখতে হবে যে আমরা বীট রুট জাতীয় কোনো খাবার খেয়েছেন কিনা। যদি খেয়ে থাকেন তাহলে শরীর নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণই নেই। যদি এমন কোনো ওষুধও খাই যার মধ্যে হলুদ প্রস্রাব হওয়ার কেমিক্যাল থাকে তাহলে উচিত আমাদের খুব পানি খাওয়া। বেশি পরিমাণ পানি খাওয়ার ফলে অনেক সময় ঠিক হয়ে যায় প্রস্রাবের রং।

অনেক পানি পান করার পরেও যদি হলুদ প্রস্রাব হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো জরুরি।