ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা Logo তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৬ বিভাগ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শেহবাজ Logo মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ঢাকায় আটক Logo দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ Logo ঢাকা জেলা জামায়াতের দিনব্যাপী অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত Logo গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় একদিনে নিহত ২৭ Logo চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে যুবলীগ ক্যাড়ারসহ আটক – ৪ Logo সীতাকুণ্ডে জামায়াতের সমাবেশে ছাত্রদলের হামলা: গুলিবৃদ্ধসহ আহত ১০ Logo মধ্যরাতে নিজেদের মাটি পাঞ্জাবে শিখ সম্প্রদায়ে উপর ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত!

লেবাননে লড়তে মরিয়া হাজার হাজার আরব যোদ্ধা

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাজার হাজার যোদ্ধা লেবাননে যেতে প্রস্তুত। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধে যোগ দিতে মরিয়া তারা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজকে ইরান-সমর্থিত দলগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ইসরায়েল যদি লেবাননে উত্তেজনাকর এই সংঘাত থেকে সরে না যায় তবে তা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেবে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা ভূখণ্ডের সশস্ত্র যোদ্ধারা গত বছর ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালানোর পরপরই গাজায় বর্বরোচিত অভিযান শুরু করে তেলআবিব। এর প্রতিবাদে হামাসের প্রতি সংহতি জানায় হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা শুরু করে। এরপর থেকে উত্তর ইসরায়েলের সঙ্গে লেবানন সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে।

চলতি মাসে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে শত শত রকেট ও বিস্ফোরক ড্রোন নিক্ষেপ করে প্রতিশোধ নেয়।

হিজবুল্লাহকে সীমান্ত এলাকা থেকে সরে যাওয়া নিয়ে আলোচনা শেষ না হলে লেবাননে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

গত দশকে লেবানন, ইরাক, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের ইরান-সমর্থিত যোদ্ধারা সিরিয়ায় ১৩ বছরের সংঘাতে একযোগে যুদ্ধ করেছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে পারে।

হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বুধবার এক বক্তব্যে বলেন, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশের জঙ্গি নেতারা এর আগে হিজবুল্লাহকে সাহায্য করার জন্য কয়েক হাজার যোদ্ধা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তিনি বলেন যে এই গোষ্ঠীটির কাছে ইতোমধ্যে এক লাখ যোদ্ধা রয়েছে। নাসরাল্লাহ বলেন, আমরা তাদের বলেছি, আপনাদের ধন্যবাদ, কিন্তু আমাদের কাছে যে বিপুল সংখ্যক যোদ্ধা রয়েছে তাতে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।

জনপ্রিয় সংবাদ

উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা

লেবাননে লড়তে মরিয়া হাজার হাজার আরব যোদ্ধা

আপডেট সময় ১২:২৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাজার হাজার যোদ্ধা লেবাননে যেতে প্রস্তুত। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধে যোগ দিতে মরিয়া তারা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজকে ইরান-সমর্থিত দলগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ইসরায়েল যদি লেবাননে উত্তেজনাকর এই সংঘাত থেকে সরে না যায় তবে তা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেবে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা ভূখণ্ডের সশস্ত্র যোদ্ধারা গত বছর ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালানোর পরপরই গাজায় বর্বরোচিত অভিযান শুরু করে তেলআবিব। এর প্রতিবাদে হামাসের প্রতি সংহতি জানায় হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা শুরু করে। এরপর থেকে উত্তর ইসরায়েলের সঙ্গে লেবানন সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে।

চলতি মাসে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে শত শত রকেট ও বিস্ফোরক ড্রোন নিক্ষেপ করে প্রতিশোধ নেয়।

হিজবুল্লাহকে সীমান্ত এলাকা থেকে সরে যাওয়া নিয়ে আলোচনা শেষ না হলে লেবাননে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

গত দশকে লেবানন, ইরাক, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের ইরান-সমর্থিত যোদ্ধারা সিরিয়ায় ১৩ বছরের সংঘাতে একযোগে যুদ্ধ করেছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে পারে।

হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বুধবার এক বক্তব্যে বলেন, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশের জঙ্গি নেতারা এর আগে হিজবুল্লাহকে সাহায্য করার জন্য কয়েক হাজার যোদ্ধা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তিনি বলেন যে এই গোষ্ঠীটির কাছে ইতোমধ্যে এক লাখ যোদ্ধা রয়েছে। নাসরাল্লাহ বলেন, আমরা তাদের বলেছি, আপনাদের ধন্যবাদ, কিন্তু আমাদের কাছে যে বিপুল সংখ্যক যোদ্ধা রয়েছে তাতে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।