অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের দেওয়া ১৪৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হয় অজিরা। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে আফগানদের জয়ের নায়ক গুলবদিন নায়েব। রবিবার সকালে (২৩ জুন) আর্নেস ভ্যাল স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।
শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে আফগানরা। জবাবে ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। টস হেরে আগে ব্যাট করে ভালোই শুরু পায় আফগানিস্তান। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৪৯ বলে ৬০ ও ইব্রাহিম জাদরানের ৪৮ বলে ৫১ রানে ১৪৮ রান করে আফগানিস্তান।
ইনিংসের ১৫.৫ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। স্টয়নিসকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গুরবাজ। চারটি চার ও চারটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান গুরবাজ। দুই ব্যাটারই অবশ্য ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকে থাকেননি।
স্টয়নিসকে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন ওয়ার্নারের হাতে। পরের ওভারে এসে অ্যাডাম জাম্পা ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। ওই ওভারের শেষ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার ইবরাহিম জাদরানও। ৬ চারে ৫১ রান করেন ইব্রাহিম। রান তাড়ায় ম্যাক্সওয়েল ৪১ বলে ৫৯ করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়া থেমে যায় ১২৭ রানে।
বোলিংয়ে আফগানদের নায়ক গুলবদিন। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। দারুণ দুই ক্যাচ নিয়ে দারুণ ফিল্ডিংও করেন এই অলরাউন্ডার। এই জয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকল আফগানিস্তান। এমনকি বড় দুই হারের পরও সমীকরণে বিশ্বকাপে টিকে রইল বাংলাদেশ। এখন ভারতের কাছে যদি অস্ট্রেলিয়া হেরে যায় আর আফগানিস্তানকে যদি বড় ব্যবধানে হারাতে পারে বাংলাদেশ, সেমিতে যাওয়া সম্ভব নাজমুল হোসেন শান্তদেরও।