ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খালার দ্বন্দ্বের জেরে আমি ক্ষতির শিকার: টিউলিপ সিদ্দিক Logo বিষ পান করিয়ে পিতাকে হত্যা, আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি সন্তানের Logo নিলামে আরও ৮৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক Logo জবিতে ‘পর্দা’ নিয়ে ছাত্রদল নেতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও মানববন্ধন Logo ঢাকা কলেজে মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের ১৫ আগস্টের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ  Logo বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের আহ্বানে মৌলভীবাজারে বাম জোটের সমাবেশ-মিছিল Logo ঘোষিত ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার Logo পলাতক ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করল সরকার Logo গাজা শহর দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে হাজারো ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ Logo নির্বাচনে সামান্যতম পক্ষপাতিত্ব দেখালে ব্যবস্থা: ইসি সানাউল্লাহ

রাসেলস ভাইপার নিয়ে যে জরুরি নির্দেশনা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রাসেলস ভাইপার নিয়ে যে জরুরি নির্দেশনা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘রাসেলস ভাইপার’ সাপ নিয়ে আতঙ্ক ও গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি এ সাপ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (২২ জুন) সকালে মন্ত্রী অনলাইন প্ল্যাটফরমে জেলাগুলোর সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ সমগ্র স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন।

সভায় মন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সর্প দংশন ও রাসেলস ভাইপার নিয়ে কথা বলেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখার এবং কোনো অবস্থাতেই অ্যান্টিভেনমের মজুদ খালি না রাখার নির্দেশ দেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি জনগণকে বলব, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। রাসেলস ভাইপারের যে অ্যান্টিভেনম, সেটা আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি, কোনো অবস্থাতেই অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রাখা যাবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাপে দংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে এ ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

ডা. সামন্ত লাল সেন এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য প্রচার-প্রচারণার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সাপে দংশনের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার তাগিদ দেন।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রোবেদ আমিনসহ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

খালার দ্বন্দ্বের জেরে আমি ক্ষতির শিকার: টিউলিপ সিদ্দিক

রাসেলস ভাইপার নিয়ে যে জরুরি নির্দেশনা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:৫৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘রাসেলস ভাইপার’ সাপ নিয়ে আতঙ্ক ও গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি এ সাপ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (২২ জুন) সকালে মন্ত্রী অনলাইন প্ল্যাটফরমে জেলাগুলোর সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ সমগ্র স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন।

সভায় মন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সর্প দংশন ও রাসেলস ভাইপার নিয়ে কথা বলেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুদ রাখার এবং কোনো অবস্থাতেই অ্যান্টিভেনমের মজুদ খালি না রাখার নির্দেশ দেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি জনগণকে বলব, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। রাসেলস ভাইপারের যে অ্যান্টিভেনম, সেটা আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি, কোনো অবস্থাতেই অ্যান্টিভেনমের ঘাটতি রাখা যাবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সাপে দংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে এ ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

ডা. সামন্ত লাল সেন এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য প্রচার-প্রচারণার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সাপে দংশনের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার তাগিদ দেন।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রোবেদ আমিনসহ বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।