কঠোর আকাশসীমা সুরক্ষার প্রযুক্তি বা আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে গোয়েন্দা ড্রোন পাঠিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। ড্রোনটি দিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সাড়ে ৯ মিনিট ভিডিও ধারণ করেছে। হিজবুল্লাহ হাইফা বন্দরে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটির ছবি প্রকাশ করলে ইসরায়েল পুরো ধাক্কা খায়।
কয়েক বছর ধরে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের বিশাল রকেট মজুতের মধ্যে দিয়ে ইসরায়েলের সীমান্তে স্থবিরতা ছিল। তখন নতুন একটি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করার পরিকল্পনা করে ইসরায়েল। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১১ সাল থেকে কাজ শুরু করে আয়রন ডোম। কিন্তু ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের এ ভিত্তিপ্রস্তরকে বাইপাস করার জন্য হিজবুল্লাহ উচ্চগতির, কম উড়ন্ত ড্রোন মোতায়েন করছে।
মঙ্গলবার সাড়ে ৯ মিনিটের ভিডিও ফুটেজটি নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ। ভিডিওটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘হুদহুদ যা বহন করে এনেছে’। দৃশ্যত হুদহুদ নামক গোয়েন্দা ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলি স্থাপনাগুলোর ভিডিও দৃশ্য ধারণ করেছে হিজবুল্লাহ। এ ঘটনায় ইসরায়েলিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক হুমকির জবাবে লেবাননের হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে ওই ড্রোন পাঠিয়ে হাইফা বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থানের ছবি তুলেছে। ইসরায়েলি মিডিয়াগুলো ড্রোনটি সম্পর্কে প্রচারিত ভিডিওকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছে।
ইসরায়েলের আকাশসীমা সুরক্ষার প্রযুক্তি বা আয়রন ডোমকে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম সফল ও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রকেট ও আর্টিলারি হামলার বিরুদ্ধে ব্যাপক কার্যকর এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি তৈরি করেছে দেশটির রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম ও ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। অবশ্য কিছু সহযোগিতা মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রও করেছিল।
গোয়েন্দা ড্রোন দিয়ে ভিডিও ধারণের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। দেশটির মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, লেবাননের হিজবুল্লাহর শক্তি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বিভাগকে হতবাক করে দিয়েছে। এ ছাড়া হিজবুল্লাহর ভিডিও ধারণকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছে।