ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায় জামায়াত Logo আধিপত্য নিয়ে আ.লীগের দু-পক্ষের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৬০ Logo ইশরাকের জরুরি সংবাদ সম্মেলন, এবার ব্যানারে নেই ‘মাননীয় মেয়র’ Logo Logo গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও ৩ জনকে ফাঁসি দিল ইরান Logo মাফ চাওয়ার মধ্যে কোনো পরাজয় নেই, লজ্জা নেই। আমার মানবিক মূল্যবোধ এবং দায়িত্বের জায়গা থেকে মাফ চেয়েছি:ডা. শফিকুর রহমান Logo বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এনসিপি নেতা ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ Logo জীবিত ইরানি জেনারেল ঈসমাইল কানি, হত্যার গুজব ভেঙে দিলেন নিজের উপস্থিতিতে Logo ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত Logo ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি
শিবিরের বিবৃতি

সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন , “সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, নাফ নদী দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী বাংলাদেশের নৌযানগুলির ওপর মিয়ানমার থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে করে সেন্টমার্টিনগামী সকল নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দ্বীপের বাণিজ্য ও খাদ্য সরবরাহ চরম বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর অন্যদেশ থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আমরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উদ্বৃতি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ১১ জুন একটি স্পিডবোটের ওপর ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এছাড়া ৮ জুনে একটি মালবাহী ট্রলারের ওপর গুলি ছোড়া হয় এবং ৫ জুন একটি নৌযান, যা নির্বাচন সামগ্রী বহন করছিল, তা লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা গুলির ফলে গত বেশ কিছুদিন ধরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে, যার ফলে দ্বীপের ১০ হাজারের ও বেশি বাসিন্দা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকটে ভুগছেন।

সবজি, ডিম ও তাজা পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং কিছু ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রি করছেন। দ্বীপের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, যা তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর খারাপ প্রভাব তৈরি করছে।”

নেতৃবৃন্দ জানান, “২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে ২৫ হাজাররের বেশি মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। সেইসাথে আরাকানের মুসলিমদের ওপর এখনো অমানবিক নির্যাতন অব্যাহত আছে। ফলে এখন প্রায় সময় সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।”

নেতৃবৃন্দ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকনাফের ১০ হাজার মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানোর জোর দাবি জানান। সেইসাথে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চায় জামায়াত

শিবিরের বিবৃতি

সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির

আপডেট সময় ০৮:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন , “সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, নাফ নদী দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী বাংলাদেশের নৌযানগুলির ওপর মিয়ানমার থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে করে সেন্টমার্টিনগামী সকল নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দ্বীপের বাণিজ্য ও খাদ্য সরবরাহ চরম বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর অন্যদেশ থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আমরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উদ্বৃতি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ১১ জুন একটি স্পিডবোটের ওপর ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এছাড়া ৮ জুনে একটি মালবাহী ট্রলারের ওপর গুলি ছোড়া হয় এবং ৫ জুন একটি নৌযান, যা নির্বাচন সামগ্রী বহন করছিল, তা লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা গুলির ফলে গত বেশ কিছুদিন ধরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে, যার ফলে দ্বীপের ১০ হাজারের ও বেশি বাসিন্দা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকটে ভুগছেন।

সবজি, ডিম ও তাজা পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং কিছু ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রি করছেন। দ্বীপের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, যা তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর খারাপ প্রভাব তৈরি করছে।”

নেতৃবৃন্দ জানান, “২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে ২৫ হাজাররের বেশি মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। সেইসাথে আরাকানের মুসলিমদের ওপর এখনো অমানবিক নির্যাতন অব্যাহত আছে। ফলে এখন প্রায় সময় সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।”

নেতৃবৃন্দ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকনাফের ১০ হাজার মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানোর জোর দাবি জানান। সেইসাথে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন।