ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড় Logo সবার আগে ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া Logo মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কা Logo ঈদে ফাঁকা ঢাকার সুরক্ষায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, আহত এক হাজার ৬৭০ Logo প্রধান উপদেষ্টাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় Logo যমুনা সেতুতে চলতি বছর টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড Logo আর্জেন্টিনার কাছে হারের জেরে দরিভালকে বরখাস্ত করল ব্রাজিল Logo দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন,সংস্কার আপনাদের কাজ না: আমীর খসরু Logo মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৪৪, আহত ৭৩২ জন

সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন , “সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, নাফ নদী দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী বাংলাদেশের নৌযানগুলির ওপর মিয়ানমার থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে করে সেন্টমার্টিনগামী সকল নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দ্বীপের বাণিজ্য ও খাদ্য সরবরাহ চরম বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর অন্যদেশ থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আমরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উদ্বৃতি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ১১ জুন একটি স্পিডবোটের ওপর ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এছাড়া ৮ জুনে একটি মালবাহী ট্রলারের ওপর গুলি ছোড়া হয় এবং ৫ জুন একটি নৌযান, যা নির্বাচন সামগ্রী বহন করছিল, তা লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা গুলির ফলে গত বেশ কিছুদিন ধরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে, যার ফলে দ্বীপের ১০ হাজারের ও বেশি বাসিন্দা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকটে ভুগছেন।

সবজি, ডিম ও তাজা পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং কিছু ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রি করছেন। দ্বীপের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, যা তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর খারাপ প্রভাব তৈরি করছে।”

নেতৃবৃন্দ জানান, “২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে ২৫ হাজাররের বেশি মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। সেইসাথে আরাকানের মুসলিমদের ওপর এখনো অমানবিক নির্যাতন অব্যাহত আছে। ফলে এখন প্রায় সময় সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।”

নেতৃবৃন্দ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকনাফের ১০ হাজার মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানোর জোর দাবি জানান। সেইসাথে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড়

সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির

আপডেট সময় ০৮:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন , “সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, নাফ নদী দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী বাংলাদেশের নৌযানগুলির ওপর মিয়ানমার থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে করে সেন্টমার্টিনগামী সকল নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দ্বীপের বাণিজ্য ও খাদ্য সরবরাহ চরম বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর অন্যদেশ থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আমরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উদ্বৃতি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ১১ জুন একটি স্পিডবোটের ওপর ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এছাড়া ৮ জুনে একটি মালবাহী ট্রলারের ওপর গুলি ছোড়া হয় এবং ৫ জুন একটি নৌযান, যা নির্বাচন সামগ্রী বহন করছিল, তা লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা গুলির ফলে গত বেশ কিছুদিন ধরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে, যার ফলে দ্বীপের ১০ হাজারের ও বেশি বাসিন্দা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকটে ভুগছেন।

সবজি, ডিম ও তাজা পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং কিছু ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রি করছেন। দ্বীপের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, যা তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর খারাপ প্রভাব তৈরি করছে।”

নেতৃবৃন্দ জানান, “২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে ২৫ হাজাররের বেশি মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। সেইসাথে আরাকানের মুসলিমদের ওপর এখনো অমানবিক নির্যাতন অব্যাহত আছে। ফলে এখন প্রায় সময় সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।”

নেতৃবৃন্দ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকনাফের ১০ হাজার মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানোর জোর দাবি জানান। সেইসাথে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন।