ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, তীব্র নিন্দা জামায়াতের Logo সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী Logo লালপুরে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা Logo তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Logo বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা Logo ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর রুবেল বাঁচতে চায় Logo কারামতিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রাবাস নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo বাংলাদেশে শরিয়তবিরোধী কোনো আইন প্রণীত হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ Logo তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রশিবিরের নবীন বরণ অনুষ্ঠান
শিবিরের বিবৃতি

সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন , “সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, নাফ নদী দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী বাংলাদেশের নৌযানগুলির ওপর মিয়ানমার থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে করে সেন্টমার্টিনগামী সকল নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দ্বীপের বাণিজ্য ও খাদ্য সরবরাহ চরম বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর অন্যদেশ থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আমরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উদ্বৃতি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ১১ জুন একটি স্পিডবোটের ওপর ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এছাড়া ৮ জুনে একটি মালবাহী ট্রলারের ওপর গুলি ছোড়া হয় এবং ৫ জুন একটি নৌযান, যা নির্বাচন সামগ্রী বহন করছিল, তা লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা গুলির ফলে গত বেশ কিছুদিন ধরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে, যার ফলে দ্বীপের ১০ হাজারের ও বেশি বাসিন্দা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকটে ভুগছেন।

সবজি, ডিম ও তাজা পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং কিছু ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রি করছেন। দ্বীপের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, যা তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর খারাপ প্রভাব তৈরি করছে।”

নেতৃবৃন্দ জানান, “২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে ২৫ হাজাররের বেশি মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। সেইসাথে আরাকানের মুসলিমদের ওপর এখনো অমানবিক নির্যাতন অব্যাহত আছে। ফলে এখন প্রায় সময় সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।”

নেতৃবৃন্দ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকনাফের ১০ হাজার মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানোর জোর দাবি জানান। সেইসাথে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

শিবিরের বিবৃতি

সেন্টমার্টিন পরিস্থিতি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির

আপডেট সময় ০৮:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন , “সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, নাফ নদী দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী বাংলাদেশের নৌযানগুলির ওপর মিয়ানমার থেকে নিয়মিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে করে সেন্টমার্টিনগামী সকল নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং দ্বীপের বাণিজ্য ও খাদ্য সরবরাহ চরম বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর অন্যদেশ থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আমরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

সাম্প্রতিক ঘটনাবলির উদ্বৃতি দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ১১ জুন একটি স্পিডবোটের ওপর ১০-১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এছাড়া ৮ জুনে একটি মালবাহী ট্রলারের ওপর গুলি ছোড়া হয় এবং ৫ জুন একটি নৌযান, যা নির্বাচন সামগ্রী বহন করছিল, তা লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা গুলির ফলে গত বেশ কিছুদিন ধরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে, যার ফলে দ্বীপের ১০ হাজারের ও বেশি বাসিন্দা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকটে ভুগছেন।

সবজি, ডিম ও তাজা পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে এবং কিছু ব্যবসায়ী দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রি করছেন। দ্বীপের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, যা তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর খারাপ প্রভাব তৈরি করছে।”

নেতৃবৃন্দ জানান, “২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দি করা হয়েছে ২৫ হাজাররের বেশি মানুষকে। জান্তার হামলায় মিয়ানমারজুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। সেইসাথে আরাকানের মুসলিমদের ওপর এখনো অমানবিক নির্যাতন অব্যাহত আছে। ফলে এখন প্রায় সময় সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।”

নেতৃবৃন্দ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকনাফের ১০ হাজার মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানোর জোর দাবি জানান। সেইসাথে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দেন।