ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪, ৯ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ রানে হারালো নেপাল

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ রানে হারালো নেপাল

শেষ ওভারে দরকার ৮ রান। বার্টম্যানের প্রথম দুইটা বল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না গুলশান ঝা। তৃতীয় বলটা ওয়াইড লেংথে ইয়র্কার। কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন ঝা। উল্লাসে ফেটে পড়লো নেপালের সমর্থকরা। পরের দুই বল থেকে ২ রান। শেষ বলটা ব্যাটেই পারলেন না ঝা। তাতেই তীরে এসে তরী ডুবলো নেপালের। ১ রানে হারের বেদনায় পুড়লো রোহিত পাউডেলের দল।

আজ শনিবার সেন্ট ভিনসেন্টের কিংস্টোনের আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নেপালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে থামতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জবাবে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরুর পরও ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে নেপালের ইনিংস।

১২০ বলে ১১৬ রান। টি-টোয়েন্টির যুগে খুব কঠিন কিছু না।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে শুরুটা দুর্দান্ত করে নেপাল। উদ্বোধনী জুটিতেই ৩৭ রান তুলে নেন কুশাল ভুরতেল ও আসিফ শেখ।১৩ রান করা কুশাল আউট হতেই ব্যাটিং ধ্বস নামে নেপালের ইনিংসে। বিদায় নেন অনিল শাহ (২৭) ও দীপেন্দ্র সিং আইরে।

বিশেষ করে অনিল শাহ বিদায় নিতেই ধস শুরু হয় নেপালের ব্যাটিংয়ে। সহজ ম্যাচ হয়ে ওঠে কঠিন। আসিফ শেখকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। আসিফও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে একই পথ ধরেন। ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে ওঠে নেপালের লক্ষ্যমাত্রা। শেষে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো আইসিসির সহযোগী দেশটিকে।

এর আগে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেপাল। এই ম্যাচে নেপালের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানে। প্রোটিয়াদের শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও কুইন্টন ডি কককে বেশিদূর যেতে দেননি দীপেন্দ্র সিং আইরে। দলীয় ২২ রানে ১১ বলে ১০ রান করে ফেরেন ডি কক।

এরপর হেনড্রিকসকে সাথে নিয়ে এগিয়েছেন মার্করাম। দেখেশুনে দুজন আগালেও জুটি বড় করতে পারেননি। সেই সঙ্গে বাকিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেছেন রানরেটের ভার। দুইজনে গড়েন ৪৬ বলে ৪৬ রানের জুটি। ২২ বলে ১৫ রান করে কুশলের শিকার হন মার্করাম। এরপর অল্পতেই ফিরেছেন হেনরিখ ক্লাসেন।

রিজা হেনড্রিকস একপ্রান্ত আগলে রান করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকেও বেশিদূর যেতে দেননি আইরে। আইরের শিকার হওয়ার আগে ৪৯ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় হয়নি ডেভিড মিলারেরও। শেষ দিকে একাই প্রোটিয়াদের ইনিংসকে টেনেছেন ত্রিস্টান স্টাবস। ১৮ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন তিনি। নেপালের পক্ষে চার উইকেট শিকার করেন ভুরতেল। তিনটি উইকেট নেন দীপেন্দ্র সিং আইরে।৪ ওভারে ১৮ রান দিয়েও কোনো উইক্কেট পাননি সন্দীপ লামিচানে।

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ রানে হারালো নেপাল

আপডেট সময় ০২:২৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

শেষ ওভারে দরকার ৮ রান। বার্টম্যানের প্রথম দুইটা বল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না গুলশান ঝা। তৃতীয় বলটা ওয়াইড লেংথে ইয়র্কার। কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন ঝা। উল্লাসে ফেটে পড়লো নেপালের সমর্থকরা। পরের দুই বল থেকে ২ রান। শেষ বলটা ব্যাটেই পারলেন না ঝা। তাতেই তীরে এসে তরী ডুবলো নেপালের। ১ রানে হারের বেদনায় পুড়লো রোহিত পাউডেলের দল।

আজ শনিবার সেন্ট ভিনসেন্টের কিংস্টোনের আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নেপালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে থামতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। জবাবে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরুর পরও ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে নেপালের ইনিংস।

১২০ বলে ১১৬ রান। টি-টোয়েন্টির যুগে খুব কঠিন কিছু না।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে শুরুটা দুর্দান্ত করে নেপাল। উদ্বোধনী জুটিতেই ৩৭ রান তুলে নেন কুশাল ভুরতেল ও আসিফ শেখ।১৩ রান করা কুশাল আউট হতেই ব্যাটিং ধ্বস নামে নেপালের ইনিংসে। বিদায় নেন অনিল শাহ (২৭) ও দীপেন্দ্র সিং আইরে।

বিশেষ করে অনিল শাহ বিদায় নিতেই ধস শুরু হয় নেপালের ব্যাটিংয়ে। সহজ ম্যাচ হয়ে ওঠে কঠিন। আসিফ শেখকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। আসিফও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে একই পথ ধরেন। ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে ওঠে নেপালের লক্ষ্যমাত্রা। শেষে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো আইসিসির সহযোগী দেশটিকে।

এর আগে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেপাল। এই ম্যাচে নেপালের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানে। প্রোটিয়াদের শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও কুইন্টন ডি কককে বেশিদূর যেতে দেননি দীপেন্দ্র সিং আইরে। দলীয় ২২ রানে ১১ বলে ১০ রান করে ফেরেন ডি কক।

এরপর হেনড্রিকসকে সাথে নিয়ে এগিয়েছেন মার্করাম। দেখেশুনে দুজন আগালেও জুটি বড় করতে পারেননি। সেই সঙ্গে বাকিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেছেন রানরেটের ভার। দুইজনে গড়েন ৪৬ বলে ৪৬ রানের জুটি। ২২ বলে ১৫ রান করে কুশলের শিকার হন মার্করাম। এরপর অল্পতেই ফিরেছেন হেনরিখ ক্লাসেন।

রিজা হেনড্রিকস একপ্রান্ত আগলে রান করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকেও বেশিদূর যেতে দেননি আইরে। আইরের শিকার হওয়ার আগে ৪৯ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় হয়নি ডেভিড মিলারেরও। শেষ দিকে একাই প্রোটিয়াদের ইনিংসকে টেনেছেন ত্রিস্টান স্টাবস। ১৮ বলে দুইটি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন তিনি। নেপালের পক্ষে চার উইকেট শিকার করেন ভুরতেল। তিনটি উইকেট নেন দীপেন্দ্র সিং আইরে।৪ ওভারে ১৮ রান দিয়েও কোনো উইক্কেট পাননি সন্দীপ লামিচানে।