ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ৪০ জনই ভারতীয়

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৭:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • 117

কুয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ৪০ জনই ভারতীয়

কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ভবনে আগুনে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জন ভারতীয়। এ সময় ভবনের বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। বেশির ভাগ বাসিন্দারই মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে। তবে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক আছেন কি-না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

এ ঘটনায় আহত আরও ৪০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কুয়েতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ভবনে ১৬০ জনের মতো মানুষ থাকতেন। তারা সবাই একটি কোম্পানিতে নিয়োজিত ছিলেন। তারা নির্মাণসংশ্লিষ্ট নানা কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ৫ তলা থেকে বেশ কয়েকজন লাফিয়ে পড়েন। তাতে তাদের মৃত্যু হয়। কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ বলেন, শ্রমিকদের নিয়োগদাতা কোম্পানি ও ভবনমালিকদের লোভের কারণে আগুনে এভাবে প্রাণহানি ঘটেছে।

ওই ভবন ভাড়া করেছিল এনবিটিসি গ্রুপ। সেটির মালিক ভারতের কেরালার ব্যবসায়ী কে জি আব্রাহাম বলে গণমাধ্যমের খবর বলা হয়েছে। কুয়েতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোয় নির্মাণশ্রমিকসহ এ ধরনের কাজ করা ব্যক্তিদের বসবাসের জন্য সাধারণত এ ধরনের ভবনের বন্দোবস্ত করা হয়। সেখানে গাদাগাদি করে থাকতে হয় প্রবাসী শ্রমিকদের।

আরব টাইমসের খবের বলা হয়, নিহত ভারতীয়দের বেশির ভাগের বাড়ি কেরালা, তামিলনাড়ু ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কুয়েতের শহরে আগুনে প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনায় যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়েতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ৪০ জনই ভারতীয়

আপডেট সময় ০৭:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলীয় আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ভবনে আগুনে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জন ভারতীয়। এ সময় ভবনের বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। বেশির ভাগ বাসিন্দারই মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে। তবে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক আছেন কি-না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

এ ঘটনায় আহত আরও ৪০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কুয়েতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ভবনে ১৬০ জনের মতো মানুষ থাকতেন। তারা সবাই একটি কোম্পানিতে নিয়োজিত ছিলেন। তারা নির্মাণসংশ্লিষ্ট নানা কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ৫ তলা থেকে বেশ কয়েকজন লাফিয়ে পড়েন। তাতে তাদের মৃত্যু হয়। কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ বলেন, শ্রমিকদের নিয়োগদাতা কোম্পানি ও ভবনমালিকদের লোভের কারণে আগুনে এভাবে প্রাণহানি ঘটেছে।

ওই ভবন ভাড়া করেছিল এনবিটিসি গ্রুপ। সেটির মালিক ভারতের কেরালার ব্যবসায়ী কে জি আব্রাহাম বলে গণমাধ্যমের খবর বলা হয়েছে। কুয়েতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোয় নির্মাণশ্রমিকসহ এ ধরনের কাজ করা ব্যক্তিদের বসবাসের জন্য সাধারণত এ ধরনের ভবনের বন্দোবস্ত করা হয়। সেখানে গাদাগাদি করে থাকতে হয় প্রবাসী শ্রমিকদের।

আরব টাইমসের খবের বলা হয়, নিহত ভারতীয়দের বেশির ভাগের বাড়ি কেরালা, তামিলনাড়ু ও উত্তর ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কুয়েতের শহরে আগুনে প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনায় যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।