ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ Logo ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করায় জেলা ছাত্রদল নেতা নেছারের হুমকি: “হাড্ডি জায়গায় থাকবে না” Logo বর্তমান সরকারের আমলেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হবে: ড. আসিফ নজরুল Logo হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা: সন্তানদের সম্পদের নোটিশ Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে: দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন দুদক কমিশন যদি মনে করে, তাহলে মামলা হবে।’

বেনজীর পরিবারের নামে এখন পর্যন্ত ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ দুদক আগেই পেয়েছিল। নতুন করে সংস্থাটি আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।

এ ছাড়া দুদক বেনজীর পরিবারের আরও প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমির খোঁজ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন গতকাল বুধবার নতুন করে খোঁজ পাওয়া বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

আদালত এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

সম্পদ অনুসন্ধান চলার মধ্যেই বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবার দেশ ছাড়েন। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৫০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে: দুদক

আপডেট সময় ০৩:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন দুদক কমিশন যদি মনে করে, তাহলে মামলা হবে।’

বেনজীর পরিবারের নামে এখন পর্যন্ত ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ দুদক আগেই পেয়েছিল। নতুন করে সংস্থাটি আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।

এ ছাড়া দুদক বেনজীর পরিবারের আরও প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমির খোঁজ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন গতকাল বুধবার নতুন করে খোঁজ পাওয়া বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

আদালত এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

সম্পদ অনুসন্ধান চলার মধ্যেই বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবার দেশ ছাড়েন। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।