ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বগুড়ায় এসএসসি/দাখিল পরিক্ষায় জিপিএ ৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির Logo সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে সুবিপ্রবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ Logo দ্বীপ হাতিয়াকে উন্নয়নের মডেল গড়ার ঘোষণা দিলেন জামায়াত নেত এড. শাহ মাহফুজ Logo মেহরিন চৌধুরীর নামে অ্যাওয়ার্ড চালু করবে সরকার : প্রেসসচিব Logo শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ Logo শ্রীপুরে স্ত্রীকে হত্যা,মাদক কারবারি স্বামীর বাড়ি পুড়িয়ে দিল গ্রামবাসী Logo টঙ্গীতে জমির দখল নিয়ে দুই ভাইয়ের সংঘর্ষ, আহত ৩, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo তালিকা থেকে জুলাই শহিদের ৮ জনের নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ Logo দেশে বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, ভারি বর্ষণ হবে টানা ৫ দিন যে অঞ্চলে Logo পিকআপ ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৩

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে: দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন দুদক কমিশন যদি মনে করে, তাহলে মামলা হবে।’

বেনজীর পরিবারের নামে এখন পর্যন্ত ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ দুদক আগেই পেয়েছিল। নতুন করে সংস্থাটি আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।

এ ছাড়া দুদক বেনজীর পরিবারের আরও প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমির খোঁজ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন গতকাল বুধবার নতুন করে খোঁজ পাওয়া বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

আদালত এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

সম্পদ অনুসন্ধান চলার মধ্যেই বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবার দেশ ছাড়েন। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় এসএসসি/দাখিল পরিক্ষায় জিপিএ ৫ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে: দুদক

আপডেট সময় ০৩:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন দুদক কমিশন যদি মনে করে, তাহলে মামলা হবে।’

বেনজীর পরিবারের নামে এখন পর্যন্ত ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ দুদক আগেই পেয়েছিল। নতুন করে সংস্থাটি আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস।

এ ছাড়া দুদক বেনজীর পরিবারের আরও প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমির খোঁজ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন গতকাল বুধবার নতুন করে খোঁজ পাওয়া বেনজীর পরিবারের আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

আদালত এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কক্সবাজার ও ঢাকার সাভারে থাকা ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। তখন ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও হিসাবও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

সম্পদ অনুসন্ধান চলার মধ্যেই বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবার দেশ ছাড়েন। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।