ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

ইংল্যান্ডকে বিদায় করার কৌশল করলে নিষিদ্ধ হতে পারেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মার্শ

ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফলের ব্যবধানে প্রভাব রাখতে পারে অস্ট্রেলিয়া। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু করলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন দলটির অধিনায়ক মিচেল মার্শ।

গ্রুপ বি-তে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে সুপার এইটে যাওয়া নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচে সমান হার নিয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ওমানের, সুযোগ নেই নামিবিয়ারও। এর ফলে দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াইটা এখন স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ৫, পরের দুই ম্যাচে জিতলে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পয়েন্টও হতে পারে পাঁচই। তখন পার্থক্য গড়ে দেবে নেট রান রেট।

রান রেটে স্কটল্যান্ড (২.১৬৪) ইংল্যান্ডের (-১.৮০০) চেয়ে এখন বেশ এগিয়ে। এর ফলে পরের দুটি ম্যাচই বড় ব্যবধানে জিততে হবে এখনকার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। তেমন কিছু হলেও শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ড নেট রান রেটে ইংল্যান্ডকে টপকে যেতে প্রয়োজনীয় সমীকরণ জেনেই মাঠে নামবে। মানে এমন হতে পারে, স্কটল্যান্ড একটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে হারলেই পরের রাউন্ডে যাবে।

এবারের ফরম্যাট অনুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপের ব্যাপার নেই। মানে সুপার এইটে একটি নির্দিষ্ট দল উঠলে কোন গ্রুপে পড়বে, সেটি নিশ্চিত আগে থেকেই। এর ফলে কার্যত এ ম্যাচে কোনো প্রাপ্তি বা হারানোর কিছু নেই অস্ট্রেলিয়ার।

সে ম্যাচে শীর্ষ সারির ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, অস্ট্রেলিয়া কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড সেটি বলেছেন আগেই। নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পর পেসার হ্যাজলউড বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের কোনো না কোনো পর্যায়ে হয়তো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে…নিজেদের দিনে তারা অন্যতম সেরা দলগুলোর একটি। টি–টোয়েন্টিতে তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগেছিও। তাই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় করাটা আমাদের জন্য তো ভালো বটেই, সম্ভবত অন্যদের জন্যও।’

হ্যাজলউড আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা মজার হবে। দল হিসেবে আমরা মনে হয় না এর আগে এমন অবস্থানে পড়েছি। তাই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা হোক বা না–হোক, আমরা আজ রাতের (অ্যান্টিগার স্থানীয় সময়) মতোই খেলার চেষ্টা করব। এটা অবশ্য আমার ওপর নয়, বাকিদের ওপর নির্ভর করছে।’

তবে এমন কিছু করলে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের অভিযোগ আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২.১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আইসিসির কোনো ইভেন্টে কোনো দল যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কৌশল গ্রহণ করে, যেটি অন্য দলের অবস্থান বদলানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে তাহলে সেটি অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। জোর করে নেট রান রেটের ওপর প্রভাব ফেললেও সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। যদিও আম্পায়াররা ঠিক কী দেখে এমন অভিযোগ আনবেন, সেটি নিশ্চিত নয়।

বিশ্বকাপে ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতির খেলা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১১১ রানের লক্ষ্যে ২৫ ওভারে ৮৩ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের ২৮ রান তুলতে তারা খেলে আরও ১৫.৪ ওভার। সুপার সিক্সে যেতে ৪৭.২ ওভারের মধ্যে জিততে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়া ধীরগতিতে খেলেছিল মূলত নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে দিতে, যাদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে হেরেছিল তারা। সেবারের নিয়ম অনুযায়ী, সুপার সিক্সে ওঠা দলগুলোর একে অন্যের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্ট যুক্ত হতো। মানে নিউজিল্যান্ড উঠলে কোনো পয়েন্ট পেত না অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ উঠলে পেত। অবশ্য পরে স্কটল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ঠিকই সুপার সিক্সে যায় নিউজিল্যান্ড।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

ইংল্যান্ডকে বিদায় করার কৌশল করলে নিষিদ্ধ হতে পারেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মার্শ

আপডেট সময় ১২:২২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফলের ব্যবধানে প্রভাব রাখতে পারে অস্ট্রেলিয়া। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু করলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন দলটির অধিনায়ক মিচেল মার্শ।

গ্রুপ বি-তে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে সুপার এইটে যাওয়া নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচে সমান হার নিয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ওমানের, সুযোগ নেই নামিবিয়ারও। এর ফলে দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়াইটা এখন স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ৫, পরের দুই ম্যাচে জিতলে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পয়েন্টও হতে পারে পাঁচই। তখন পার্থক্য গড়ে দেবে নেট রান রেট।

রান রেটে স্কটল্যান্ড (২.১৬৪) ইংল্যান্ডের (-১.৮০০) চেয়ে এখন বেশ এগিয়ে। এর ফলে পরের দুটি ম্যাচই বড় ব্যবধানে জিততে হবে এখনকার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। তেমন কিছু হলেও শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ড নেট রান রেটে ইংল্যান্ডকে টপকে যেতে প্রয়োজনীয় সমীকরণ জেনেই মাঠে নামবে। মানে এমন হতে পারে, স্কটল্যান্ড একটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে হারলেই পরের রাউন্ডে যাবে।

এবারের ফরম্যাট অনুযায়ী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপের ব্যাপার নেই। মানে সুপার এইটে একটি নির্দিষ্ট দল উঠলে কোন গ্রুপে পড়বে, সেটি নিশ্চিত আগে থেকেই। এর ফলে কার্যত এ ম্যাচে কোনো প্রাপ্তি বা হারানোর কিছু নেই অস্ট্রেলিয়ার।

সে ম্যাচে শীর্ষ সারির ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, অস্ট্রেলিয়া কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড সেটি বলেছেন আগেই। নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পর পেসার হ্যাজলউড বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের কোনো না কোনো পর্যায়ে হয়তো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে…নিজেদের দিনে তারা অন্যতম সেরা দলগুলোর একটি। টি–টোয়েন্টিতে তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগেছিও। তাই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় করাটা আমাদের জন্য তো ভালো বটেই, সম্ভবত অন্যদের জন্যও।’

হ্যাজলউড আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা মজার হবে। দল হিসেবে আমরা মনে হয় না এর আগে এমন অবস্থানে পড়েছি। তাই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা হোক বা না–হোক, আমরা আজ রাতের (অ্যান্টিগার স্থানীয় সময়) মতোই খেলার চেষ্টা করব। এটা অবশ্য আমার ওপর নয়, বাকিদের ওপর নির্ভর করছে।’

তবে এমন কিছু করলে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের অভিযোগ আসতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২.১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আইসিসির কোনো ইভেন্টে কোনো দল যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কৌশল গ্রহণ করে, যেটি অন্য দলের অবস্থান বদলানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে তাহলে সেটি অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। জোর করে নেট রান রেটের ওপর প্রভাব ফেললেও সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। যদিও আম্পায়াররা ঠিক কী দেখে এমন অভিযোগ আনবেন, সেটি নিশ্চিত নয়।

বিশ্বকাপে ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতির খেলা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১১১ রানের লক্ষ্যে ২৫ ওভারে ৮৩ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের ২৮ রান তুলতে তারা খেলে আরও ১৫.৪ ওভার। সুপার সিক্সে যেতে ৪৭.২ ওভারের মধ্যে জিততে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। অস্ট্রেলিয়া ধীরগতিতে খেলেছিল মূলত নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে দিতে, যাদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে হেরেছিল তারা। সেবারের নিয়ম অনুযায়ী, সুপার সিক্সে ওঠা দলগুলোর একে অন্যের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্ট যুক্ত হতো। মানে নিউজিল্যান্ড উঠলে কোনো পয়েন্ট পেত না অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ উঠলে পেত। অবশ্য পরে স্কটল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ঠিকই সুপার সিক্সে যায় নিউজিল্যান্ড।