মহাসড়কে চলছে চার লেনের কাজ। চালকদের বেপরোয়া গতি ও ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও যানজটের কারণে থেমে আছে গাড়িগুলো।
বুধবার (১২ জুন) ভোর থেকে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্বপাড় পর্যন্ত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
কোরবানি ঈদের ছুটি শুরু না হলেও মহাসড়কে বেড়েছে পরিবহনের সংখ্যা। এতে প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের হার বাড়ছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় সেতুতে ২৮ হাজার ৪০১টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ২৫০ টাকা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ জুন) গভীর রাত থেকে বঙ্গবন্ধু পূর্বপাড়ে যানজট শুরু হয়। পরে আস্তে আস্তে যানজট গিয়ে পৌঁছায় টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায় ২৩ কিলোমিটার সড়কে। তবে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো সেতু পার হয়ে ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করায় সকাল থেকে কমতে থাকে যানজট।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও রাতের বেলায় পরিবহন চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে গাড়ির কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ মহাসড়কে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। ফলে যাতায়াতে মহাসড়কটির গুরুত্ব রয়েছে। এজন্য ঈদের আগে এ মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলে ২৩টি জেলার ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।