কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে একটি খামারের তিন প্রহরীকে পিস্তল দেখিয়ে ও বেঁধে রেখে ১০টি গরু লুট করার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খামারের মালিক। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের পুজকরা গ্রামের মায়ের দোয়া ইট ভাটার ভেতরে থাকা খামরের ঘটনা এটি।
খামার মালিকের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে গরুগুলোকে খাবার দিয়ে ঘুমাতে যান দায়িত্বে থাকা ফরিদুল ইসলাম ও রুহুল আমিন। রাত ২টার দিকে মুখোশ পরিহিত ১০-১৫ জন পিস্তল, ছুরি ও হকিস্টিক নিয়ে ইট ভাটার প্রবেশ করে এবং পাহারাদার নুরে আলমকে বেঁধে ফেলেন। তারা খামারের অন্য দুই শ্রমিককে ঘুম থেকে ডেকে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। দুর্বৃত্তরা খামার থেকে ১০টি গরু পিকআপে তুলে পালিয়ে যায়। ভোরের দিকে স্থানীয় কামাল ড্রাইভার খামারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকদের দেখতে পেয়ে মালিক আনোয়ার হোসাইনকে ফোন করেন।
খামারের মালিক আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে খামার করে গরু ব্যবসা করেছি। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত শ্রমিকদের পিস্তল দেখিয়ে ও বেঁধে রেখে বিদেশি জাতের সাতটি গাভী, দুটি মহিষ ও একটি ষাঁড় নিয়ে যায়। আমার প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইট ভাটার মালিক আবু ইউছুফ কোম্পানি জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইট ভাটার ভেতরে খামার করে গরু ব্যবসা করছেন তার ভাই আনোয়ার। রাতে শ্রমিকদের অস্ত্রেরের মুখে জিম্মি করে ১০টি গরু লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এবার কোরবানি ঈদকে ঘিরে নাঙ্গলকোটে গরু চুরি বেড়ে গেছে। তিনি রাতে টহল পুলিশের দায়িত্ব বাড়ানোরসহ লুট করা গরুগুলো উদ্ধারের দাবি জানান।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছে। খামারটি কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের পাশে হওয়ায় গরু লুট করে দুর্বৃত্তরা সহজে পালিয়ে গেছে।