ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোকাকলা

কোকাকলা

ভালো-মন্দ খাওয়া পর এক বোতল ঠাণ্ডা কোমল পানীয় না খেলে আত্মা তৃপ্ত হয় না! বেশি মাত্রায় কোমল পানীয় গ্রহণ শরীরের জন্য ভালো না হলেও তা নিত্যদিন আমরা পান করেই থাকি।
জানেন কি? বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন বোতল কোকাকোলা বিক্রি হয়। এক বোতল কোকা কোলায় ৪৬ গ্রাম চিনি থাকে, যা দৈনিক চিনির চাহিদা ৩০ গ্রামের থেকে অনেক বেশি। এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কোকাকোলার বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক হচ্ছে।

দাঁতে ক্ষয় : কোকাকোলার উচ্চ এসিডিটি ও চিনি দাঁতের ওপর শক্ত আবরণ ও ক্ষত তৈরি করে। ভিটামিন স্বল্পতার কারণে আপনার ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে দাঁতের ভেতর ও বাইরে কালো দাগ পড়তে বেশি দিন লাগবে না।

ভিটামিন ঘাটতি : কোকাকোলা খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর, কোকে ক্যাফেইনের সাথে থাকা ফসফোরিক এসিড শরীর থেকে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান দেহ থেকে বের করে দিতে শুরু করে (এটা প্রসাবের চাপ সৃষ্টি করে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক যেগুলো অস্থিতে থাকে এবং সোডিয়াম পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়)। প্রতিদিন কোকাকোলা খেলে এভাবেই ভিটামিনস্বল্পতা শুরু হয়।

উদ্বেগ : ঘুমের ঘাটতির সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা দেখা দিতে পারে। এক বোতল কোকে এক কাপ কফির সমপরিমাণ ক্যাফেইন থাকে। আর এটা যেহেতু আসক্তি সৃষ্টি করে। আপনি ছাড়তে চাইলেও মাথাব্যথা, বিরক্তিভাব, ক্লান্তি, এমনকি হতাশা দেখা দিতে পারে।
স্থূলতা : কোক খাওয়ার ফলে আপনার ওজন যতটা বাড়বে, সেটা কোনো সমস্যা না হলেও এটা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম এবং অস্থি ও জয়েন্টের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত কোক পানে আপনার স্থুলতা বাড়তে পারে।

ত্বকের সমস্যা : ধূমপান করলে ত্বকের ওপর যেমন প্রভাব পড়ে, রোজ কোক খেলেও ঠিক তেমনই প্রভাব পড়ে। উচ্চ মাত্রায় চিনির কারণে সোডা খাওয়ার ফলে শরীরে প্রদাহ বা জ্বালা দেখা দেয়। ত্বকের থেকে পানি শুষে নেয়। ফলে ছোট ছোট দাগ ও ভাঁজ পড়ে যায়। ত্বকের বয়স বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়। ফলে চামড়া ম্লান দেখায় ও ঝুলে পড়ে। আরো একজিমা, চুলকানি ও ব্রনের সম্ভাবনা বাড়িতে দেয়।
হার্ট ও রক্তের সমস্যা : খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। আপনি যদি দিনে এক বোতল কোকও খেয়ে থাকেন তবে আপনি ইতোমধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আছেন। আর নারীরা যারা রোজ এক বোতল হলেও কোক খাচ্ছেন তাদের ডায়াবেটিস-২ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

ক্যান্সারের ঝুঁকি : প্রতিদিন কোকাকোলা খেলে আপনার ক্যান্সার হবে, ঠিক এমনটা নয়। তবে কোকে বেনজিন অণুর উপস্থিতি এবং প্ল্যাস্টিক প্যাকেজিংয়ের কার ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে, ডাক্তাররা সপ্তাহে এক বোতল কোক খাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
কিডনি সমস্যা : আপনি যদি কোকের ডায়েট ভার্সনটা নিরাপদ মনে করে রোজ খেয়ে থাকেন তবে আপনি ভুল করছেন! এতে চিনি না থাকলেও যে কৃত্রিম মিষ্টিকারক থাকে, সেগুলো আপনার কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। সূত্র: ইন্টারনেট।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোকাকলা

আপডেট সময় ০৪:২৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

ভালো-মন্দ খাওয়া পর এক বোতল ঠাণ্ডা কোমল পানীয় না খেলে আত্মা তৃপ্ত হয় না! বেশি মাত্রায় কোমল পানীয় গ্রহণ শরীরের জন্য ভালো না হলেও তা নিত্যদিন আমরা পান করেই থাকি।
জানেন কি? বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন বোতল কোকাকোলা বিক্রি হয়। এক বোতল কোকা কোলায় ৪৬ গ্রাম চিনি থাকে, যা দৈনিক চিনির চাহিদা ৩০ গ্রামের থেকে অনেক বেশি। এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কোকাকোলার বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক হচ্ছে।

দাঁতে ক্ষয় : কোকাকোলার উচ্চ এসিডিটি ও চিনি দাঁতের ওপর শক্ত আবরণ ও ক্ষত তৈরি করে। ভিটামিন স্বল্পতার কারণে আপনার ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে দাঁতের ভেতর ও বাইরে কালো দাগ পড়তে বেশি দিন লাগবে না।

ভিটামিন ঘাটতি : কোকাকোলা খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর, কোকে ক্যাফেইনের সাথে থাকা ফসফোরিক এসিড শরীর থেকে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান দেহ থেকে বের করে দিতে শুরু করে (এটা প্রসাবের চাপ সৃষ্টি করে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক যেগুলো অস্থিতে থাকে এবং সোডিয়াম পায়খানার সাথে বেরিয়ে যায়)। প্রতিদিন কোকাকোলা খেলে এভাবেই ভিটামিনস্বল্পতা শুরু হয়।

উদ্বেগ : ঘুমের ঘাটতির সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা দেখা দিতে পারে। এক বোতল কোকে এক কাপ কফির সমপরিমাণ ক্যাফেইন থাকে। আর এটা যেহেতু আসক্তি সৃষ্টি করে। আপনি ছাড়তে চাইলেও মাথাব্যথা, বিরক্তিভাব, ক্লান্তি, এমনকি হতাশা দেখা দিতে পারে।
স্থূলতা : কোক খাওয়ার ফলে আপনার ওজন যতটা বাড়বে, সেটা কোনো সমস্যা না হলেও এটা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম এবং অস্থি ও জয়েন্টের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত কোক পানে আপনার স্থুলতা বাড়তে পারে।

ত্বকের সমস্যা : ধূমপান করলে ত্বকের ওপর যেমন প্রভাব পড়ে, রোজ কোক খেলেও ঠিক তেমনই প্রভাব পড়ে। উচ্চ মাত্রায় চিনির কারণে সোডা খাওয়ার ফলে শরীরে প্রদাহ বা জ্বালা দেখা দেয়। ত্বকের থেকে পানি শুষে নেয়। ফলে ছোট ছোট দাগ ও ভাঁজ পড়ে যায়। ত্বকের বয়স বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়। ফলে চামড়া ম্লান দেখায় ও ঝুলে পড়ে। আরো একজিমা, চুলকানি ও ব্রনের সম্ভাবনা বাড়িতে দেয়।
হার্ট ও রক্তের সমস্যা : খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। আপনি যদি দিনে এক বোতল কোকও খেয়ে থাকেন তবে আপনি ইতোমধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আছেন। আর নারীরা যারা রোজ এক বোতল হলেও কোক খাচ্ছেন তাদের ডায়াবেটিস-২ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

ক্যান্সারের ঝুঁকি : প্রতিদিন কোকাকোলা খেলে আপনার ক্যান্সার হবে, ঠিক এমনটা নয়। তবে কোকে বেনজিন অণুর উপস্থিতি এবং প্ল্যাস্টিক প্যাকেজিংয়ের কার ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে, ডাক্তাররা সপ্তাহে এক বোতল কোক খাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
কিডনি সমস্যা : আপনি যদি কোকের ডায়েট ভার্সনটা নিরাপদ মনে করে রোজ খেয়ে থাকেন তবে আপনি ভুল করছেন! এতে চিনি না থাকলেও যে কৃত্রিম মিষ্টিকারক থাকে, সেগুলো আপনার কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। সূত্র: ইন্টারনেট।