ফিলিস্তিনে ইসরাইলী আগ্রাসনের কারণে বয়কটের কবলে পড়া কোমল পানীয়ের একসময়ের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা মূলত বাংলাদেশের বাজারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের নীরব বয়কট আন্দোলন প্রভাব ফেলেছে ব্যাপকভাবে।
কোকাকোলা ইসরায়েলের একটি কোম্পানি-এমন একটি প্রচলিত কথা দেশের সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে কোকাকোলা বাংলাদেশ নানাভাবেই বোঝাতে চেয়েছে এটা ইসরায়েলি কোম্পানি নয়। বাংলাদেশের কোকাকোলা বাংলাদেশেই তৈরি হয়।
আর এই ক্ষতি থেকে গা বাঁচাতে ‘কোক মোটেও অই জাগার না’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন (টিভিসি) প্রচার করেছে কোম্পানীটি। আর এতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে নেটিজেনদের মধ্যে।
তবে এতে কোকাকোলা উল্লেখযোগ্যভাবে সফল হয়নি, হতে পারেনি। এবার সরাসরি কোকাকোলা কোম্পানি বিজ্ঞাপন বানাল, যেখানে স্পষ্ট করে বলে দিলো কোকাকোলা ১৯৩ টি দেশে তৈরি হয় এবং ফিলিস্তিনেও কোকের ফ্যাক্টরি রয়েছে। ইসরায়েলি কোম্পানি নামে যে কথা প্রচলিত রয়েছে তা একেবারে গুজব।
এই বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মাসহ বেশ কয়েকজন। সোমবার সকাল থেকেই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনের শেষ সংলাপটি হলো একটা চুমুক দেন- তারপর সার্চ দেন। অর্থাৎ গুজবে কান না দিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখুন-এমনই বক্তব্য।
এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যে দোকানে কোকাকোলা রাখা হবে সে দোকানকেও বয়কট করার আহ্বান জানান।
যেহেতু বিজ্ঞাপনটি নিয়ে চর্চা হচ্ছে- স্বাভাবিকভাবেই এর নির্মাতা নিয়েও কথা হয়। বিজ্ঞাপনের মন্তব্য বাক্সে আলোচনা সমালোচনারত পাশাপাশি অনেকে জানতে চাইছে এই বিজ্ঞাপন নির্মাণ কে করেছেন। এমন প্রসঙ্গে- কাজল আরেফিন অমির নাম এলেও আদতে তা তিনি বানাননি। কারণ এই বিজ্ঞাপনের শিল্পীদের অমির নাটকেই দেখা যায়। বিষয়টি অমি নিজেই ফেসবুকে স্পষ্ট করেছেন, এটা তার বানানো নয়।