ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo কামিন্দুর ফিফটিতে ১৩৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি লঙ্কানদের Logo বসতবাড়িতে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, আহত ৩ Logo এই সময় -কে সাক্ষাৎকার বিতর্কের মধ্যেই মির্জা ফখরুল-অনমিত্রের ছবি প্রকাশ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি Logo জবি ছাত্রদলের উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ বিতরণ Logo বিএনপি ভারতমুখী হলে আমরা তাদের উচিত শিক্ষা দেব: নাসীরুদ্দীন Logo গালির জবাবে দোয়া হবে আমাদের কর্মসূচি : জামায়াত আমির Logo জামায়াতকে আর মাথায় উঠতে দেব না, ভারতীয় মিডিয়াকে মির্জা ফখরুল Logo নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জামায়াতের

সিলেটে বন্যা, জমে উঠেছে নৌকা ব্যবসা

সিলেটে নৌকার হাট

হাওর অঞ্চলের একটি প্রচলিত কথা হলো-‘বর্ষায় নাও, শুকনায় পাও’। অর্থাৎ বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া গতি নেই। শুকনায় পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। পথঘাট, সেতু হয়ে হাওর অঞ্চলের যোগাযোগের পুরনো ছবিটা অনেকটা পাল্টে গেলেও নৌকার ঐতিহ্য পাল্টায়নি। এখনো হাওরাঞ্চলে নৌকার কদর আগের মতই। এর মধ্যে বন্যা আতঙ্কে যাতায়াতের জন্য নৌকা ক্রয় করছেন জনসাধারন।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরে এখন চারদিকে থইথই পানি গত কয়েক দিনের পাহাড়ী ঢল ও অতি বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধিতে নৌকার কদর বাড়ছে । এ কারণে জমে উঠেছে জগন্নাথপুর উপজেলার শতবর্ষী নৌকার হাট। বৃহত্তর হাওর অঞ্চলের মতোই এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষের জীবন-জীবিকার অপরিহার্য অনুষঙ্গ নৌকা বর্ষা মৌসম আসলে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা ও যাতায়াতের জন্য এই পরিবহন ব্যবহার করেন। হাওর অঞ্চলের সুপরিচিত এ নৌকার হাটকে স্থানীয়রা নাও হাট বলে থাকে। বর্ষা কালে বিয়ে পার্বণেও প্রয়োজন হয় প্রচুর নৌকার। আর সে জন্য সবার গন্তব্য জগন্নাথপুরের নৌকার হাট। এরই অংশ হিসেবে রবিবার হাটে নৌকা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম হয়। এতে হাট জমজমাট হয়ে উঠে। হাটে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরণের নৌকা সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রাখেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা নৌকায় উঠে তা পছন্দ করেন। পছন্দ হলে দামদর শুরু হয়। পরে চলে বেচাকেনা। উপজেলার হাওর পাড়ের মানুষের নৌকাই একমাত্র ভরসা। বর্ষায় নৌকা ছাড়া তারা চলাচলসহ কোনো কাজ করতে পারেন না।

ইজারাদারের কথা অনুযায়ী, প্রতিবছর এই হাটে জগন্নাথপুর উপজেলা জগন্নাথপুর পৌর এলাকার সুইস গেট নামক স্থানে বসে নৌকার হাট। উপজেলার আশার কান্দি ইউনিয়ন, রানীগঞ্জ, চিলাউড়া ইউনিয়ন সহ দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে নৌকা কিনতে। হাটে নৌকা আসে জগন্নাথপুর ও ছাতক উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে। সেখানকার কারিগররা এসব নৌকা তৈরি করেন। সবচেয়ে বেশি নৌকা সরবরাহ করেন গ্রামের কারিগররা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসে ‘কুশি’ নৌকা, ‘বারকী’ নৌকা। আকারভেদে মাছ ধরার ছোট নৌকা পাঁচ-সাত হাজার টাকা থেকে ২০ থেকে ৩০হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

স্থানীয়রা জানায়, বর্ষাকালে জগন্নাথপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় নৌকার হাট এটিই। নৌকার হাটটি শুরু হয় বাজারের বেশ পরে। এটি শখানেক বছর আগে গড়ে উঠেছিল বলে ধারণা করা হয়। বন্যা আতঙ্কে বেশি নৌকা বিক্রয় হচ্ছে।

আনুমানিক ১০০ বছর আগে সর্বপ্রথম জগন্নাথপুর নৌকার হাট বসে। সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বুধবার হাটের দিন বাজারে দু-তিন শর বেশি নৌকা বিক্রির জন্য ওঠে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেনাবেচা চলে। নৌকা বিক্রতা কলিম উদ্দিন বলেন, জগন্নাথপুর ঐতিহ্যবাহী বাজার, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারে নৌকা নিয়ে আসি। অনেক বৃষ্টির জন্য লোক জন কম। তা নাহলে বেচাবিক্রি খারাপ হয় না।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

সিলেটে বন্যা, জমে উঠেছে নৌকা ব্যবসা

আপডেট সময় ০১:৩৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

হাওর অঞ্চলের একটি প্রচলিত কথা হলো-‘বর্ষায় নাও, শুকনায় পাও’। অর্থাৎ বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া গতি নেই। শুকনায় পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। পথঘাট, সেতু হয়ে হাওর অঞ্চলের যোগাযোগের পুরনো ছবিটা অনেকটা পাল্টে গেলেও নৌকার ঐতিহ্য পাল্টায়নি। এখনো হাওরাঞ্চলে নৌকার কদর আগের মতই। এর মধ্যে বন্যা আতঙ্কে যাতায়াতের জন্য নৌকা ক্রয় করছেন জনসাধারন।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরে এখন চারদিকে থইথই পানি গত কয়েক দিনের পাহাড়ী ঢল ও অতি বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধিতে নৌকার কদর বাড়ছে । এ কারণে জমে উঠেছে জগন্নাথপুর উপজেলার শতবর্ষী নৌকার হাট। বৃহত্তর হাওর অঞ্চলের মতোই এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষের জীবন-জীবিকার অপরিহার্য অনুষঙ্গ নৌকা বর্ষা মৌসম আসলে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা ও যাতায়াতের জন্য এই পরিবহন ব্যবহার করেন। হাওর অঞ্চলের সুপরিচিত এ নৌকার হাটকে স্থানীয়রা নাও হাট বলে থাকে। বর্ষা কালে বিয়ে পার্বণেও প্রয়োজন হয় প্রচুর নৌকার। আর সে জন্য সবার গন্তব্য জগন্নাথপুরের নৌকার হাট। এরই অংশ হিসেবে রবিবার হাটে নৌকা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম হয়। এতে হাট জমজমাট হয়ে উঠে। হাটে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরণের নৌকা সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রাখেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা নৌকায় উঠে তা পছন্দ করেন। পছন্দ হলে দামদর শুরু হয়। পরে চলে বেচাকেনা। উপজেলার হাওর পাড়ের মানুষের নৌকাই একমাত্র ভরসা। বর্ষায় নৌকা ছাড়া তারা চলাচলসহ কোনো কাজ করতে পারেন না।

ইজারাদারের কথা অনুযায়ী, প্রতিবছর এই হাটে জগন্নাথপুর উপজেলা জগন্নাথপুর পৌর এলাকার সুইস গেট নামক স্থানে বসে নৌকার হাট। উপজেলার আশার কান্দি ইউনিয়ন, রানীগঞ্জ, চিলাউড়া ইউনিয়ন সহ দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে নৌকা কিনতে। হাটে নৌকা আসে জগন্নাথপুর ও ছাতক উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে। সেখানকার কারিগররা এসব নৌকা তৈরি করেন। সবচেয়ে বেশি নৌকা সরবরাহ করেন গ্রামের কারিগররা। বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসে ‘কুশি’ নৌকা, ‘বারকী’ নৌকা। আকারভেদে মাছ ধরার ছোট নৌকা পাঁচ-সাত হাজার টাকা থেকে ২০ থেকে ৩০হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

স্থানীয়রা জানায়, বর্ষাকালে জগন্নাথপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় নৌকার হাট এটিই। নৌকার হাটটি শুরু হয় বাজারের বেশ পরে। এটি শখানেক বছর আগে গড়ে উঠেছিল বলে ধারণা করা হয়। বন্যা আতঙ্কে বেশি নৌকা বিক্রয় হচ্ছে।

আনুমানিক ১০০ বছর আগে সর্বপ্রথম জগন্নাথপুর নৌকার হাট বসে। সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বুধবার হাটের দিন বাজারে দু-তিন শর বেশি নৌকা বিক্রির জন্য ওঠে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেনাবেচা চলে। নৌকা বিক্রতা কলিম উদ্দিন বলেন, জগন্নাথপুর ঐতিহ্যবাহী বাজার, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারে নৌকা নিয়ে আসি। অনেক বৃষ্টির জন্য লোক জন কম। তা নাহলে বেচাবিক্রি খারাপ হয় না।