ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার নবীন বরণ অনুষ্ঠিত Logo টঙ্গীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo বেসরকারি খাতের উন্নয়ন সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংক : গভর্নর Logo গণতন্ত্রের জন্য অনৈক্যই মূল চ্যালেঞ্জ : আইন উপদেষ্টা Logo বাংলাদেশের জার্সি গায়ে কি আর খেলতে পারবেন সাকিব Logo গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত ৫৫, প্রাণহানি ছাড়িয়ে গেল ৪২ হাজার ৮০০ Logo ভারতের উপকূলে আঘাত হানল করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ Logo শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতার ভাই অস্ত্রসহ ১১ মামলার আসামি গ্রেফতার Logo সমাবেশ সফল করার লক্ষে শাজাহানপুরে জামায়াতে ইসলামীর লিফলেট বিতরণ Logo পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

টানা দুই পরাজয়ের পরও সুপার এইটের আশা দেখছেন বাবর

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিশ্বকাপ ইতিহাসে অন্যতম অঘটনের জন্ম দিয়ে শুরু, এরপর ভারতকে বাগে পেয়েও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের কাছে হারের পেছনে ডট বল বেশি হওয়াকে দায় দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। টানা দুই পরাজয়ের পরও সুপার এইটের আশাও দেখছেন তিনি।

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার ভারতকে ১১৯ রানে আটকে রেখেও ৬ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। এই হারে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার জোর শঙ্কায় পড়ে গেছে গতবারের রানার্স-আপরা।

ম্যাচ শেষে চোখে-মুখে হারের হতাশা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাবর। পাওয়ার প্লের ওভারগুলো কাজে লাগাতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ ঝরে তার কণ্ঠে।

“আমাদের ভাবনা ছিল, আমরা স্বাভাবিকই খেলব। ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভার কাজে লাগাব। এসব পারলেই আমরা জিততাম। তবে এক উইকেট পড়ার পর প্রথম ছয় ওভারে আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। আমাদের লক্ষ্য ছিল পাওয়ার প্লেতে ৪০ থেকে ৪৫ রান নেওয়া। কিন্তু আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি যথাযথভাবে এবং ১০ ওভারের পর আমরা একই ভুল করে গেছি।”

পাওয়ার প্লেতে বাবরের উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তোলে পাকিস্তান। পরের দশ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে কেবল ৫০ রান। এসময় ২৯টিই হয় ডট বল। দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানো এবং ডট বলকে দায়ি করছেন বাবর।

“১০ ওভারের পর আমরা ভালো বোলিং করেছি। ১২০ রানের লক্ষ্যকে আমাদের সাদরেই গ্রহণ করা উচিত ছিল। প্রথম ১০ ওভারে আমরা বলপ্রতি রান তুলেছি। কিন্তু এরপর দুর্ভাগ্যজনকভাবে পিঠেপিঠি উইকেট হারিয়েছি এবং এরপর অনেক বেশি ডট বল খেলেছি।”

“আমাদের পরিকল্পনা ছিল সাধারণ, স্বাভাবিকভাবে খেলা, প্রান্ত বদলানো এবং ওভারে একটি বাউন্ডারি মারলে এরপর স্বাভাবিক খেলে যাওয়া… ওভারপ্রতি পাঁচ-ছয় রান তোলা। তবে ওই সময়ে আমরা অনেক বেশি ডটবল খেলেছি, এত আমাদের ওপর অনেক চাপ চলে আসে। পিঠেপিঠি দুই-তিন উইকেট হারানোও আমাদের জন্য কাল হয়েছে।”

এই মাঠের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে তুমুল। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচও একই আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। তবে উইকেট নিয়ে খুব একটা অভিযোগ নেই বাবরের।

“পিচ খারাপ ছিল না। বল বেশ ভালোভাবে ব্যাটে এসেছে। একটু ধীরগতির ছিল, কিছু বল একটু বেশি লাফিয়েছে। তবে ড্রপ-ইন পিচে এটুকু হয়েই থাকে। একটি-দুটি বল এরকম হবেই।”

দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়ায় গ্রুপ পর্ব উতরানো এখন পাকিস্তানের জন্য ভীষণ কঠিন। শুধু নিজেরা বাকি দুই ম্যাচ জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও। তবু আশা দেখছেন বাবর।

“অবশ্যই শেষ দুটি ম্যাচ জিততে হবে আমাদের। আমরা বসে আলোচনা করব আমাদের ভুলগুলি নিয়ে। তবে পরের দুটি ম্যাচে তাকিয়ে আছি আমরা।”

পরের দুই ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ কানাডা ও আয়ারল্যান্ড। সুপার এইটে ওঠার পথে তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র পরের দুটি ম্যাচ খেলবে ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

টানা দুই পরাজয়ের পরও সুপার এইটের আশা দেখছেন বাবর

আপডেট সময় ০১:১২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিশ্বকাপ ইতিহাসে অন্যতম অঘটনের জন্ম দিয়ে শুরু, এরপর ভারতকে বাগে পেয়েও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের কাছে হারের পেছনে ডট বল বেশি হওয়াকে দায় দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। টানা দুই পরাজয়ের পরও সুপার এইটের আশাও দেখছেন তিনি।

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার ভারতকে ১১৯ রানে আটকে রেখেও ৬ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। এই হারে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার জোর শঙ্কায় পড়ে গেছে গতবারের রানার্স-আপরা।

ম্যাচ শেষে চোখে-মুখে হারের হতাশা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাবর। পাওয়ার প্লের ওভারগুলো কাজে লাগাতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ ঝরে তার কণ্ঠে।

“আমাদের ভাবনা ছিল, আমরা স্বাভাবিকই খেলব। ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভার কাজে লাগাব। এসব পারলেই আমরা জিততাম। তবে এক উইকেট পড়ার পর প্রথম ছয় ওভারে আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। আমাদের লক্ষ্য ছিল পাওয়ার প্লেতে ৪০ থেকে ৪৫ রান নেওয়া। কিন্তু আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি যথাযথভাবে এবং ১০ ওভারের পর আমরা একই ভুল করে গেছি।”

পাওয়ার প্লেতে বাবরের উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তোলে পাকিস্তান। পরের দশ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পারে কেবল ৫০ রান। এসময় ২৯টিই হয় ডট বল। দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারানো এবং ডট বলকে দায়ি করছেন বাবর।

“১০ ওভারের পর আমরা ভালো বোলিং করেছি। ১২০ রানের লক্ষ্যকে আমাদের সাদরেই গ্রহণ করা উচিত ছিল। প্রথম ১০ ওভারে আমরা বলপ্রতি রান তুলেছি। কিন্তু এরপর দুর্ভাগ্যজনকভাবে পিঠেপিঠি উইকেট হারিয়েছি এবং এরপর অনেক বেশি ডট বল খেলেছি।”

“আমাদের পরিকল্পনা ছিল সাধারণ, স্বাভাবিকভাবে খেলা, প্রান্ত বদলানো এবং ওভারে একটি বাউন্ডারি মারলে এরপর স্বাভাবিক খেলে যাওয়া… ওভারপ্রতি পাঁচ-ছয় রান তোলা। তবে ওই সময়ে আমরা অনেক বেশি ডটবল খেলেছি, এত আমাদের ওপর অনেক চাপ চলে আসে। পিঠেপিঠি দুই-তিন উইকেট হারানোও আমাদের জন্য কাল হয়েছে।”

এই মাঠের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে তুমুল। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচও একই আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। তবে উইকেট নিয়ে খুব একটা অভিযোগ নেই বাবরের।

“পিচ খারাপ ছিল না। বল বেশ ভালোভাবে ব্যাটে এসেছে। একটু ধীরগতির ছিল, কিছু বল একটু বেশি লাফিয়েছে। তবে ড্রপ-ইন পিচে এটুকু হয়েই থাকে। একটি-দুটি বল এরকম হবেই।”

দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়ায় গ্রুপ পর্ব উতরানো এখন পাকিস্তানের জন্য ভীষণ কঠিন। শুধু নিজেরা বাকি দুই ম্যাচ জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও। তবু আশা দেখছেন বাবর।

“অবশ্যই শেষ দুটি ম্যাচ জিততে হবে আমাদের। আমরা বসে আলোচনা করব আমাদের ভুলগুলি নিয়ে। তবে পরের দুটি ম্যাচে তাকিয়ে আছি আমরা।”

পরের দুই ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ কানাডা ও আয়ারল্যান্ড। সুপার এইটে ওঠার পথে তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র পরের দুটি ম্যাচ খেলবে ভারত ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।