ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নষ্ট খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ নেতানিয়াহু Logo গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিলের প্রতিবাদে টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও বাইক শোডাউন Logo সোহাগ হত্যার মূল হোতা মহিনের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি Logo পাকিস্তানকে দীর্ঘ ৯ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে হারাল বাংলাদেশ Logo ‘স্বাধীনতার পক্ষ বা বিপক্ষকে অস্ত্র বানিয়ে আমরা বিভেদ তৈরি করতে চাই না’-সালাহউদ্দিন Logo টঙ্গীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিলের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মোটরসাইকেল শোডাউন Logo হারোনো বিজ্ঞপ্তি :খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বাক প্রতিবন্ধী ওবায়দুল্লাহকে Logo বিএনপি হলো ছ্যাঁচড়া চাঁদাবাজ: ফয়জুল করীম Logo জাতীয় সমাবেশ সফল করায় জামায়াতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ Logo ফোন করে জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান

মোদির মন্ত্রিসভায় নেই কোনো মুসলিম

নরেন্দ্র মোদি।

এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ পাঠ করেছেন তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানী নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে তাদের শপথ পড়ান ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মন্ত্রিসভায় মোদিসহ মোট ৭২ জন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই।

হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রবিবার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।

এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।

সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরো তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন।

তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে।

তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারো পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি।

জনপ্রিয় সংবাদ

নষ্ট খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ নেতানিয়াহু

মোদির মন্ত্রিসভায় নেই কোনো মুসলিম

আপডেট সময় ০১:১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ পাঠ করেছেন তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানী নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে তাদের শপথ পড়ান ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মন্ত্রিসভায় মোদিসহ মোট ৭২ জন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই।

হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রবিবার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।

এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।

সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরো তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন।

তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে।

তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারো পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি।