ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইউআইইউ‘র ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার Logo সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে গেলে আরেকটা ফ্যাসিবাদ জন্ম দেবে: গোলাম পরওয়ার Logo বিএনপি নেতার গুদাম থেকে ৩০৪ বস্তা চাল উদ্ধার করল সেনাবাহিনী Logo ইরানের পরবর্তী সম্ভাব্য উত্তরসূরি মনোনীত করলেন খামেনি Logo এবার ইরানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা হিজবুল্লাহর Logo আজীবন ক্ষমতায় থাকতে ইরান যুদ্ধকে ব্যবহার করছে নেতানিয়াহু : বিল ক্লিনটন Logo ইসরায়েলের হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত, ভিডিও প্রকাশ Logo ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস Logo ছাত্রলীগ নেতা এখন ছাত্রদল সভাপতি Logo অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢামেক বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

পাবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা

১৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মকর্তাদের কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা।

রবিবার (৯ জুন) সকাল দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা অবস্থান নেন। কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তাদের এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। তবে কর্মকর্তাদের অন্য অংশ পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের অফিস করতে দেখা গিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ৪% গৃহ ঋণ বাস্তবায়ন, কর্মকর্তাদের পদন্নোতি নীতিমালা সংশোধন, কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন কর্মকর্তা পরিষদ। ঐ স্মারক লিপিতে ২৮ মে’র মধ্যে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সময় দেওয়া হয়। কিন্তু ২৮ তারিখের মধ্যে প্রশাসন দাবিগুলো পূরণ না করলে ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাকে ৮ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে একটি চিঠি দেন।

কর্মকর্তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে ৫ জুন (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করেন। উপাচার্যের সাথে ঐ বৈঠকে দাবিগুলোর কোন সমাধান হয়নি বলে জানান কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করছি। প্রশাসন কিছু সুবিধাভোগী কর্মকর্তাকে দিনের পর দিন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে সাধারণ কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কর্মকর্তাদের অধিকার আদায়ের জন্যই কর্মসূচি।’

কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, ১৫ দফার প্রত্যেকটি দাবি ন্যায্য। কিন্তু প্রশাসন সেগুলো বাস্তবায়ন করতে রাজি নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এখন সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে, কেউ সুবিধা পায় কেউ সুবিধা পায়না। আমরা দাবি দাওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেছি, দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অফিসে যাবোনা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘গত বুধবার উপাচার্য কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে সমস্যা সমাধান হয়েছে শুনলাম। এখন ওরা আন্দোলন করলে আমার কিছু করার নেই। আমি এই বিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজি নয়।’

ইউআইইউ‘র ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

পাবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা

আপডেট সময় ০৩:৫৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

১৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মকর্তাদের কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা।

রবিবার (৯ জুন) সকাল দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা অবস্থান নেন। কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তাদের এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। তবে কর্মকর্তাদের অন্য অংশ পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের অফিস করতে দেখা গিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ৪% গৃহ ঋণ বাস্তবায়ন, কর্মকর্তাদের পদন্নোতি নীতিমালা সংশোধন, কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন কর্মকর্তা পরিষদ। ঐ স্মারক লিপিতে ২৮ মে’র মধ্যে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সময় দেওয়া হয়। কিন্তু ২৮ তারিখের মধ্যে প্রশাসন দাবিগুলো পূরণ না করলে ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাকে ৮ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে একটি চিঠি দেন।

কর্মকর্তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে ৫ জুন (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করেন। উপাচার্যের সাথে ঐ বৈঠকে দাবিগুলোর কোন সমাধান হয়নি বলে জানান কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করছি। প্রশাসন কিছু সুবিধাভোগী কর্মকর্তাকে দিনের পর দিন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে সাধারণ কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কর্মকর্তাদের অধিকার আদায়ের জন্যই কর্মসূচি।’

কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, ১৫ দফার প্রত্যেকটি দাবি ন্যায্য। কিন্তু প্রশাসন সেগুলো বাস্তবায়ন করতে রাজি নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এখন সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে, কেউ সুবিধা পায় কেউ সুবিধা পায়না। আমরা দাবি দাওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেছি, দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অফিসে যাবোনা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘গত বুধবার উপাচার্য কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে সমস্যা সমাধান হয়েছে শুনলাম। এখন ওরা আন্দোলন করলে আমার কিছু করার নেই। আমি এই বিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজি নয়।’