ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত রাহুল গান্ধী

ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত রাহুল গান্ধী

ভারতের অষ্টাদশ লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীকে চাইলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার দিল্লিতে দলের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে ৪৪ এবং ২০১৯ সালে ৫২টি আসনে জেতা কংগ্রেস এবার লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে।

ফলে এক দশক পর লোকসভায় ফিরতে চলেছে বিরোধী দলনেতা পদ। কেরালার ওয়েনাড় ও উত্তর প্রদেশের রাইবেরিলি—দুটি আসন থেকেই সাড়ে তিন লাখের বেশি ব্যবধানে জয়ী রাহুলই এ ক্ষেত্রে দলের পছন্দ বলে জানিয়েছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল।
শনিবার বিকেলে বৈঠকের পরে বেণুগোপাল জানান, রাহুল গান্ধী যাতে বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণ করেন, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সে বিষয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তার দাবি, বিষয়টি এখন রাহুল গান্ধীর বিবেচনাধীন।

এ ছাড়া কংগ্রেস সংসদ সদস্য তথা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য কুমারী শেলজা বলেন, ‘আমরা সবাই একযোগে রাহুলকে বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণের আরজি জানিয়েছি।’

এদিকে লোকসভা ভোটের রাজ্য পর্যায়ের ফল বিশ্লেষণ করে হারের কারণগুলো চিহ্নিত করা হবে বলে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। কংগ্রেস শাসিত যে রাজ্যগুলোতে লোকসভা ভোটে দলের ফল খারাপ হয়েছে, সেগুলোতে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। জাতীয় প্রেক্ষাপটে তুলনামূলক ভালো ফল করলেও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড়, মধ্য প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড এবং কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক ও হিমাচল প্রদেশে দলের ফল খুবই খারাপ হয়েছে।

মাত্র ছয় মাস আগে বিধানসভা ভোটে বিপুলভাবে জেতা তেলেঙ্গানাতেও এবার কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলের চারটি লোকসভাই বিজেপি জিতেছে। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বিধানসভা কেন্দ্রসহ সব বিধানসভা এলাকাতেই কংগ্রেস পিছিয়ে রয়েছে। ১৯৯৯ ও ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর কংগ্রেসের তৎকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই প্রবীণ নেতা এ কে অ্যান্টনিকে মাথায় রেখে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির সুপারিশ মেনে সাংগঠনিক স্তরে কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত রাহুল গান্ধী

আপডেট সময় ০৮:৫০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

ভারতের অষ্টাদশ লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীকে চাইলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শনিবার দিল্লিতে দলের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে ৪৪ এবং ২০১৯ সালে ৫২টি আসনে জেতা কংগ্রেস এবার লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে।

ফলে এক দশক পর লোকসভায় ফিরতে চলেছে বিরোধী দলনেতা পদ। কেরালার ওয়েনাড় ও উত্তর প্রদেশের রাইবেরিলি—দুটি আসন থেকেই সাড়ে তিন লাখের বেশি ব্যবধানে জয়ী রাহুলই এ ক্ষেত্রে দলের পছন্দ বলে জানিয়েছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল।
শনিবার বিকেলে বৈঠকের পরে বেণুগোপাল জানান, রাহুল গান্ধী যাতে বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণ করেন, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সে বিষয়ে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তার দাবি, বিষয়টি এখন রাহুল গান্ধীর বিবেচনাধীন।

এ ছাড়া কংগ্রেস সংসদ সদস্য তথা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য কুমারী শেলজা বলেন, ‘আমরা সবাই একযোগে রাহুলকে বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণের আরজি জানিয়েছি।’

এদিকে লোকসভা ভোটের রাজ্য পর্যায়ের ফল বিশ্লেষণ করে হারের কারণগুলো চিহ্নিত করা হবে বলে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। কংগ্রেস শাসিত যে রাজ্যগুলোতে লোকসভা ভোটে দলের ফল খারাপ হয়েছে, সেগুলোতে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। জাতীয় প্রেক্ষাপটে তুলনামূলক ভালো ফল করলেও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিসগড়, মধ্য প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড এবং কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক ও হিমাচল প্রদেশে দলের ফল খুবই খারাপ হয়েছে।

মাত্র ছয় মাস আগে বিধানসভা ভোটে বিপুলভাবে জেতা তেলেঙ্গানাতেও এবার কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলের চারটি লোকসভাই বিজেপি জিতেছে। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর বিধানসভা কেন্দ্রসহ সব বিধানসভা এলাকাতেই কংগ্রেস পিছিয়ে রয়েছে। ১৯৯৯ ও ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর কংগ্রেসের তৎকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই প্রবীণ নেতা এ কে অ্যান্টনিকে মাথায় রেখে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির সুপারিশ মেনে সাংগঠনিক স্তরে কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল।