ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সুপার ফোরে উঠতে পারে বাংলাদেশ, আশাবাদী শোয়েব মালিক Logo চিরনিদ্রায় শায়িত জাবি শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস Logo বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না: দুলু Logo জাকসু: অব্যবস্থাপনা ও ফলাফল প্রকাশে বিলম্বের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ Logo লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি, সরে দাঁড়ালেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার Logo অবশেষে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সুশীলা কার্কি, রাতেই শপথ Logo চাঁদা না দেওয়ায় ইমামকে হত্যাচেষ্টা, থানায় অভিযোগ Logo ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই চলবে ভোট গণনা, ফলাফল আজকের মধ্যেই Logo জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ৫০ নেতাকর্মী Logo জাকসুর ফল প্রকাশের আলটিমেটাম দিল শিবির সমর্থিত প্যানেল

আনার হত্যা: কলকাতায় সিয়ামের ১৪ দিনের রিমান্ড

আনার হত্যা: কলকাতায় সিয়ামের ১৪ দিনের রিমান্ড

ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলার আসামি সিয়ামকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতার সিআইডি। শনিবার (৮ জুন) তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার বারাসাতের আদালত। এর আগে শুক্রবার ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যায় অভিযুক্ত মো. সিয়াম হোসেন কলকাতা সিআইডির হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজীম হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়াম নেপাল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এ তথ্য আগেই জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। ২২ মে কলকাতা পুলিশ জানায়, আজীম খুন হয়েছেন। একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও জানান, আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই দিন আজীমের খোঁজ চেয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে আজীমের মরদেহ পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুই দেশের পুলিশ। এর মধ্যে ডিবির হেফাজতে আছে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সেলেস্তা রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া।

আর কলকাতা পুলিশের হেফাজতে আছেন জিহাদ হাওলাদার। এখন এ তালিকায় যুক্ত হলেন সিয়াম। গত রোববার সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত। শিমুল, শিলাস্তি ও তানভীর এরই মধ্যে এমপি আজীমকে অহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত মার্কিন নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন আমেরিকা পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার জিহাদ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সুপার ফোরে উঠতে পারে বাংলাদেশ, আশাবাদী শোয়েব মালিক

আনার হত্যা: কলকাতায় সিয়ামের ১৪ দিনের রিমান্ড

আপডেট সময় ০৬:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলার আসামি সিয়ামকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতার সিআইডি। শনিবার (৮ জুন) তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার বারাসাতের আদালত। এর আগে শুক্রবার ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যায় অভিযুক্ত মো. সিয়াম হোসেন কলকাতা সিআইডির হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজীম হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়াম নেপাল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এ তথ্য আগেই জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। ২২ মে কলকাতা পুলিশ জানায়, আজীম খুন হয়েছেন। একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও জানান, আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই দিন আজীমের খোঁজ চেয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে আজীমের মরদেহ পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুই দেশের পুলিশ। এর মধ্যে ডিবির হেফাজতে আছে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সেলেস্তা রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া।

আর কলকাতা পুলিশের হেফাজতে আছেন জিহাদ হাওলাদার। এখন এ তালিকায় যুক্ত হলেন সিয়াম। গত রোববার সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত। শিমুল, শিলাস্তি ও তানভীর এরই মধ্যে এমপি আজীমকে অহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত মার্কিন নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন আমেরিকা পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার জিহাদ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।