ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যাই করেন, ছাত্রলীগ হইতে যাইয়েন না: হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি Logo দুই উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও এনসিপি নেতাকে দুদকে তলব Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে- জগন্নাথের হল দে, রাজপথে শিক্ষার্থীদের লিখনি Logo নোয়াখালী সরকারি কলেজে সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি Logo ইসরায়েল গণহত্যাকারী রাষ্ট্র, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা স্পেনের Logo মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যায্য দাবিতে মুন্সিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo ১৭ বছর ধরে অচল অবস্থায় বেলকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জনদুর্ভোগ চরমে Logo ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত: প্রেস সচিব Logo গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রান গেল একই পরিবারের ৩ জনের Logo এবার মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে শাকিবের ‘বরবাদ’

আনার হত্যা: কলকাতায় সিয়ামের ১৪ দিনের রিমান্ড

আনার হত্যা: কলকাতায় সিয়ামের ১৪ দিনের রিমান্ড

ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলার আসামি সিয়ামকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতার সিআইডি। শনিবার (৮ জুন) তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার বারাসাতের আদালত। এর আগে শুক্রবার ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যায় অভিযুক্ত মো. সিয়াম হোসেন কলকাতা সিআইডির হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজীম হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়াম নেপাল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এ তথ্য আগেই জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। ২২ মে কলকাতা পুলিশ জানায়, আজীম খুন হয়েছেন। একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও জানান, আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই দিন আজীমের খোঁজ চেয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে আজীমের মরদেহ পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুই দেশের পুলিশ। এর মধ্যে ডিবির হেফাজতে আছে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সেলেস্তা রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া।

আর কলকাতা পুলিশের হেফাজতে আছেন জিহাদ হাওলাদার। এখন এ তালিকায় যুক্ত হলেন সিয়াম। গত রোববার সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত। শিমুল, শিলাস্তি ও তানভীর এরই মধ্যে এমপি আজীমকে অহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত মার্কিন নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন আমেরিকা পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার জিহাদ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

যাই করেন, ছাত্রলীগ হইতে যাইয়েন না: হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি

আনার হত্যা: কলকাতায় সিয়ামের ১৪ দিনের রিমান্ড

আপডেট সময় ০৬:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলার আসামি সিয়ামকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতার সিআইডি। শনিবার (৮ জুন) তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার বারাসাতের আদালত। এর আগে শুক্রবার ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যায় অভিযুক্ত মো. সিয়াম হোসেন কলকাতা সিআইডির হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আজীম হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সিয়াম নেপাল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, এ তথ্য আগেই জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। ২২ মে কলকাতা পুলিশ জানায়, আজীম খুন হয়েছেন। একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও জানান, আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একই দিন আজীমের খোঁজ চেয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে আজীমের মরদেহ পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুই দেশের পুলিশ। এর মধ্যে ডিবির হেফাজতে আছে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সেলেস্তা রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া।

আর কলকাতা পুলিশের হেফাজতে আছেন জিহাদ হাওলাদার। এখন এ তালিকায় যুক্ত হলেন সিয়াম। গত রোববার সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত। শিমুল, শিলাস্তি ও তানভীর এরই মধ্যে এমপি আজীমকে অহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত মার্কিন নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন আমেরিকা পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার জিহাদ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।