ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানবতার পাশাপাশি স্পোর্টসের মাধ্যমে সবাইকে একত্রিত করে দেখিয়ে দিল পুলিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, আপনারা জনগণের পুলিশ হবেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ আপনারা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। পুলিশ যেমন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানবতার সেবা করে তেমনি দেশের মানুষকে আজ একটি স্পোর্টসের মাধ্যমে একত্রিত করে সেটিও পুলিশ দেখিয়ে দিল, পুলিশ সব কিছুই পারে। আজ শুক্রবার (৭ জুন) জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডিশনাল আইজিপি  বনজ কুমার মজুমদার এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বুঝে গিয়েছিলাম পাকিস্তানের সাথে আর নয়। ‘৬৬ তে যখন ছয় দফা ঘোষণা করা হলো তখনই ছিল আমাদের টার্নিং পয়েন্ট। সারা দেশের মানুষ এটিকে স্বাধীনতার দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছিল। এই ছয় দফাকে ঘিরে আজকের এই আয়োজনের জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন ও চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ করা ছাড়াও করোনা মহামারিসহ যে কোন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আপনারা নজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আইজিপি বলেন, জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের অত্যন্ত সাহসী একটি পদক্ষেপ। বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান জয় বাংলাকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং ৭ জুনের ছয় দফাকে প্রতিপাদ্য করে জয় বাংলা ম্যারাথন নামকরণ অত্যন্ত অর্থবহ হয়েছে। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলের কনভেনশনে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, এই ছয় দফাকে বলা হয় বাংঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এই মুক্তির সনদ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ১৯৬৬ সালের এই দিনে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মনু মিয়াসহ ১১ জন জীবন দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার প্রাক্কালে এই ছয় দফাকে বাঙালি জাতি গ্রহণ করেছিল, তার প্রমাণ দিয়েছিল এই দিনে ছয় দফা দিবসে। স্বাধীনতার জন্য মুক্তিপাগল মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একত্রিত হয়েছিল, সেই বিষয়টি স্মরণ রেখে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক ও সাইক্লিং ক্লাবের এই আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম ছয় দফা সম্পর্কে জানতে পারবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ঘোষণা করছি।
হাতিরঝিলের মেরুল বাড্ডা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে এম্ফিথিয়েটারে এসে শেষ হয় এই হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। পরে হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে ৪টি কাটাগরিতে ৩০ জন বিজয়ীর মাঝে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য গত ১৪ মে জয় বাংলা ম্যারাথন ২০২৪ এর কার্যক্রমের রেজিস্ট্রেশন উদ্বোধন হয়। এতে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। মোট ৩৫০০ লোক রেজিস্ট্রেশন করে। যাদের মধ্যে থেকে আজ ৩২০০ লোকের অংশগ্রহণে “জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪”এর হাফ ম্যারাথন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানবতার পাশাপাশি স্পোর্টসের মাধ্যমে সবাইকে একত্রিত করে দেখিয়ে দিল পুলিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:১৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, আপনারা জনগণের পুলিশ হবেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ আপনারা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। পুলিশ যেমন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও মানবতার সেবা করে তেমনি দেশের মানুষকে আজ একটি স্পোর্টসের মাধ্যমে একত্রিত করে সেটিও পুলিশ দেখিয়ে দিল, পুলিশ সব কিছুই পারে। আজ শুক্রবার (৭ জুন) জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডিশনাল আইজিপি  বনজ কুমার মজুমদার এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বুঝে গিয়েছিলাম পাকিস্তানের সাথে আর নয়। ‘৬৬ তে যখন ছয় দফা ঘোষণা করা হলো তখনই ছিল আমাদের টার্নিং পয়েন্ট। সারা দেশের মানুষ এটিকে স্বাধীনতার দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছিল। এই ছয় দফাকে ঘিরে আজকের এই আয়োজনের জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন ও চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ করা ছাড়াও করোনা মহামারিসহ যে কোন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আপনারা নজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আইজিপি বলেন, জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ক্লাবের অত্যন্ত সাহসী একটি পদক্ষেপ। বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান জয় বাংলাকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং ৭ জুনের ছয় দফাকে প্রতিপাদ্য করে জয় বাংলা ম্যারাথন নামকরণ অত্যন্ত অর্থবহ হয়েছে। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলের কনভেনশনে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, এই ছয় দফাকে বলা হয় বাংঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এই মুক্তির সনদ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ১৯৬৬ সালের এই দিনে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মনু মিয়াসহ ১১ জন জীবন দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার প্রাক্কালে এই ছয় দফাকে বাঙালি জাতি গ্রহণ করেছিল, তার প্রমাণ দিয়েছিল এই দিনে ছয় দফা দিবসে। স্বাধীনতার জন্য মুক্তিপাগল মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একত্রিত হয়েছিল, সেই বিষয়টি স্মরণ রেখে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক ও সাইক্লিং ক্লাবের এই আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম ছয় দফা সম্পর্কে জানতে পারবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ঘোষণা করছি।
হাতিরঝিলের মেরুল বাড্ডা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে এম্ফিথিয়েটারে এসে শেষ হয় এই হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। পরে হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে ৪টি কাটাগরিতে ৩০ জন বিজয়ীর মাঝে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য গত ১৪ মে জয় বাংলা ম্যারাথন ২০২৪ এর কার্যক্রমের রেজিস্ট্রেশন উদ্বোধন হয়। এতে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। মোট ৩৫০০ লোক রেজিস্ট্রেশন করে। যাদের মধ্যে থেকে আজ ৩২০০ লোকের অংশগ্রহণে “জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪”এর হাফ ম্যারাথন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।