“করবো ভূমি পুনরুদ্ধার,রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং রোসাটমের’ যৌথ উদ্যোগে আজ ৫ জুন বুধবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়েছে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(পাবিপ্রবি) এর ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ প্রতিবছরই বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে, পরিবেশের নানা সমস্যা এবং সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে মানুষকে সচেতন করে থাকেন। ঠিক এইবছরও তার বিকল্প নয়। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রাশিয়ান মালিকানাধীন সংস্থা ‘রোসাটমের’ সাথে যৌথ উদ্যোগে আজ, ৫ জুন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বুধবার সকাল ০৯:০০ ঘটিকায় রযালির মাধ্যামে শুরু হয়ে,সকাল ০৯:৩০ টায় পাবিপ্রবি ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং সর্বশেষ সকাল ১০:০০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ভবণের গ্যালারি-২ তে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, মাননীয় উপাচার্য, পাবিপ্রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ডক্টর কে এম. সালাহ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ, পাবিপ্রবি। প্রধান অলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ শামসুল আলম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের এম জাকির হোসেন খান,ছিলেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরকারি প্রতিনিধি এবং রোসাটমের রাশিয়ান প্রতিনিধিরা, এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডঃ মোহাম্মদ রাহিদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, পাবিপ্রবি।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য ড.হাফিজা খাতুন প্রথমেই সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান, তারপর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাশিয়ান মালিকানাধীন সংস্থা রোসাটমের আগত প্রতিনিধিদেরকে সহযাত্রী হিসেবে আক্ষ্যায়িত করেন। এছাড়াও তিনি রাশিয়া এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আজীবন বজায় থাকুক এই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। এছাড়াও তিনি পরিবেশের ভুমি পুনরুদ্ধার এবং খরা সহনশীলতা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাহিদুল ইসলাম বলেন প্রকৃতি হলো মায়ের মত, মা যেমন হাজারো কষ্ট সত্বেও অনেক কছু সহ্য করে থাকেন,তেমনি আমাদের করা কাজগুলি যখন প্রকৃতির বিপক্ষে যায় তখন হয়ত মায়ের মত প্রকৃতি ও সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখায় না,যার ফলশ্রুতিতেই আজকের এই জলবায়ু পরিবর্তন,দু্র্যোগ ও মরুকরণ। এরপর উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।