স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ইমামদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সমাজের যে কোনও ইতিবাচক পরিবর্তনে ইমামরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। ইমামদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা গেলে সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমে তারা অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। সরকার দেশের ইমাম সমাজকে একটি প্রতিষ্ঠিত জায়গায় দেখতে চায়।
বুধবার (৫ জুন) ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁওস্থ মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় ইমাম সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশের ইমাম সমাজকে মূলধারার উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা জরুরি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার প্রসারের দ্বার উন্মোচন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়ের পরিক্রমায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মো. আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেলা পর্যায়ে ১৯২ জন, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৪ জন ও জাতীয় পর্যায়ে ৩ জন শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং ৬২ জন খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামকে সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।